২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে লোকসভায় তৃণমূলের নিম্নমুখী ভোটের সঙ্গে বিজেপির ঊর্ধ্বমুখী ভোট নানা হিসাব-নিকাশ সামনে আনছে পর্যবেক্ষকদের। পশ্চিমবঙ্গে দুই মেয়াদে সরকার চালাতে থাকা তৃণমূলের জন্য এটা বিজেপির ‘আগাম’ বার্তা বলেও মনে হচ্ছে অনেকের কাছে।
ভোটের হিসাবে এ বার্তার সঙ্গে সঙ্গে মৌখিক বার্তাও দিচ্ছেন বিজেপির নেতারা। দলটির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে ইঙ্গিত করেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল ও সরকারকে ইঙ্গিত করে স্লোগান তুলছেন, ‘১৯ এ হাফ, ২১ এ সাফ’ (অর্থাৎ ২০১৯ সালে তৃণমূল অর্ধেক হেরেছে, ২০২১ সালে রাজ্য থেকে সাফ হয়ে যাবে)।
আর ২৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে জয় নিশ্চিত হওয়া পর সোমবারই (২৭মে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার নির্বাচনী এলাকা বারানসীতে বলেছেন, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন হবে।
রাজ্য সরকার পরিবর্তনের এই ‘বার্তা’কে বেশ আমলে নিয়ে নড়েচড়ে বসছে তৃণমূলও। মাঠ গোছানোর জন্য কেবল বর্তমানে সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়েই ভাবছে না, পুরনো এবং অভিমানী নেতা-কর্মীদের দলে ফিরিয়ে শক্তি বাড়ানোর কথাও ভাবছে তারা। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পড়েছে দলের নেতা ও কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিমের ওপর।
ইতোমধ্যে কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তাকে আবার ময়দান নামার অনুরোধ করেছেন তিনি। আলাপ সারছেন অন্য নেতাদেরও সঙ্গে।
সে কথা স্বীকার করে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘অনেকেই অভিমান করে চলে গেছেন। বলেছি একসঙ্গে কাজ করতে। সাম্প্রদায়িক দলকে দূরে রাখতে হবে। মমতার নেতৃত্বে লড়াই করবো। বামদের ৩৪ বছরের ক্ষমতা রুখে দিয়েছিলাম আমরা। এবার সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই। বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হবে। ’
গত বছর মন্ত্রিত্ব ও মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল থেকে কার্যত দূরে সরে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগেও জল্পনা রটেছিল, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন। যদিও তা হয়নি। সেই শোভনকেই দলে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অবশ্য তৃণমূলের এই তৎপরতার আগেই এই দলের অভিমানীদের নিজেদের পতাকাতলে ভেড়াতে তৎপর হয়েছে বিজেপি। এরই অংশ হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনায় নৈহাটি, বারাসাতে সম্ভবত বেশ ক’জন কাউন্সিলর মঙ্গলবার (২৮ মে) বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
ভিএস/এইচএ/