ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

সফর বাতিল করে বুলবুল-বিধ্বস্ত এলাকায় মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
সফর বাতিল করে বুলবুল-বিধ্বস্ত এলাকায় মমতা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে মমতা।

কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হেনেছে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে। কিন্তু, শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কন্ট্রোল রুমে বসে সার্বক্ষণিক লক্ষ্য রেখেছেন ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির ওপর। এদিন ঘূর্ণিঝড় লণ্ডভণ্ড করে গেছে রাজ্যের নয়টি জেলা। এরপরই সব কর্মসূচি বাতিল করে সোমবার (১১ নভেম্বর) দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ইতোমধ্যে জেলার কাকদ্বীপে পৌঁছে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজ্যের উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে পাহাড় সফরে যাওয়ার কথা ছিল মমতার। সেই সফরও বাতিল করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে।

ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ে রোববারই (১০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা হয়েছে তার।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে সবধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০টি টিম কাজ করছে। উড়িষ্যাতে গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ছয়টি টিম। আরও ১৮টি টিম পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা এলাকাগুলো। অঞ্চলগুলো ঝড়ের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ক্ষতি হয়েছে নদীর তীরবর্তী হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাটও। এছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, রামনগর, খেজুরি ও নন্দীগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) ছিল পশ্চিমবঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মুখ্যমন্ত্রী তার কালীঘাটের বাড়ি থেকেই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার কাজ, ত্রাণবণ্টন ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তদারকি করেন।

জানা গেছে, ঝড়ে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ত্রাণের কাজে তদারকি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এখনো পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিধ্বস্ত এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে আরও কোনো প্রাণহানি ঘটেছে কি-না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
ভিএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।