ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতা বন্দরের নাম হলো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়: মোদী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
কলকাতা বন্দরের নাম হলো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়: মোদী বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: ‘কলকাতা বন্দরের নাম বদল হয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) থেকে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করা হলো।’

রোববার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই নামকরণের ঘোষণা  দেন।

নরেন্দ্র মোদী বলেন, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভারতের শিল্প বিকাশের অন্যতম পথিকৃত।

শ্যামাপ্রসাদ ও সংবিধান রচিয়তা আম্বেডকরের ভাবনার যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে হলদিয়া ও বেনারসের মধ্যে জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে গঙ্গায় বড় জাহাজ চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য নদীর গভীরতা বাড়ানোর কাজ শুরু হবে।

এছাড়া গতরাত বেলুড় মঠে কাটিয়ে, এইদিন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আইন ভারতের কারোর নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য না। উল্টে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের দুর্দশার কথা ভেবেই এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে। মনে রাখবেন, সরকার রাতারাতি নাগরিকত্ব আইন আনেনি।

স্বাধীনতার পর মহাত্মা গান্ধীসহ সেই সময়ের নেতারা বিশ্বাস করতেন, পাকিস্তানের নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত ভারতের। এটা দেশের মানুষ বুঝতে পারছে। বুঝতে চাইছে না রাজনৈতিক দলগুলো। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতেছে বিরোধীরা।

২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয় সংসদে। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় অত্যাচারের জেরে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ভারতে। যা শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দিনগত রাতে থেকে সারাদেশে কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিমানবন্দরে পা দিয়েই কলকাতায় সিএএ বিরোধী আঁচ অনুভব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল গোটাদিন ধরে কলকাতায় সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রযুবরা। বিক্ষোভ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে। দেখানো হয় কালো পতাকা। জ্বালানো হয় কুশপুতুল।

তারই মধ্যে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও বুঝেছিলেন, সিএএ পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করতে অনড় মমতা। বিতর্কে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন, ‘দিল্লিতে আসুন কথা হবে। ’ প্রধানমন্ত্রী রোববারই ফিরে গেলেন দিল্লিতে। কিন্তু শনিবার রাত থেকেই ছাত্ররা অবস্থান করছে এসপ্ল্যাডে। বেরিকেড করে পুলিশ ঘিরে রেখেছে তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।