ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গে যে কোনো সময় পৌঁছাতে পারে ভ্যাকসিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
পশ্চিমবঙ্গে যে কোনো সময় পৌঁছাতে পারে ভ্যাকসিন

কলকাতা: চলমান পরিস্থিতিতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যে কোনো মুহূর্তে সুখবর পেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। ‘সারপ্রাইজের জন্য অপেক্ষা করুন’, রাজ্যের সঙ্গে পরপর ভিডিও কনফারেন্সের পর বৃহস্পতিবার এমনই সুখবর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্তারা।

কেন্দ্রের এহেন চমকের কথা স্বীকারও করেছেন পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ড. অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ওনারা আমাদের জানিয়েছে, যে কোনো সময় সুখবরের জন্য প্রস্তুত থাকুন। পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে তো বটেই, এমনকি যে কোনো মুহূর্তে যেকোনো সারপ্রাইজ আসতে পারে। তখন যেন ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, বণ্টন ইত্যাদি বিষয়ে কোনো সমস্যা না হয়। আমরা সেইমতো সমস্ত আয়োজন করে রাখছি।

রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ জানিয়েছেন, প্রথম দফায় প্রায় ২০ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ২৫ হাজার, সব মিলিয়ে ৪৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে তৈরি করছি আমরা। ফলে করোনা ভ্যাকসিন কী এবং কত ধরনের, কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয়—  এরকমই নানা বিষয় নিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ।

ফলে বোঝাই যাচ্ছে করোনা টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখন তৎপর পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য প্রশাসনে। শুরু হয়ে গিয়েছে অনলাইন ট্রেনিং। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে জেলায় জেলায় হাতে কলমে টিকাকরণের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। কর্মীদের শেখানো হচ্ছে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায়।

জেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ট্রেনিং নিচ্ছে দুই বর্ধমান, বীরভূম, রামপুরহাট, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা। তারা আবার ফিরে গিয়ে জোন অনুযায়ী জেলায় বাকিদের শেখাবেন। জেলাগুলির দেখভালের জন্য রাজ্যজুড়ে গঠন করা হয়েছে পাঁচটি কমিটি।

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রকল্প কর্তা তথা অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বন্দনা গুরনানি ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, যেভাবেই হোক ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণপর্ব শেষ করতে হবে।

তবে কি বড়দিনে অর্থাৎ আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে। কারণ ওই দিন আবার বিজেপি নেতা তথা সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ির জন্মদিন।

তবে ভারতে কোন ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিসিল্ড’, নাকি ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’ অথবা আমেরিকার ফাইজার সংস্থার ‘এমআরএনএ’ অথবা অন্য কোনো সংস্থা। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই খোলসা করেননি। তবে যে সংস্থাই আসুক না কেন খুব শিগগিরই পশ্চিমবঙ্গবাসী পেতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।