ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় উপদূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
কলকাতায় উপদূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

কলকাতা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ গ্যালারির ভেতর ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ শিরোনামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক বিশিষ্ট সাংবাদিক বিকচ চৌধুরী বলেন, নেতাজীর দিল্লি চলো বাঙালির মন নাড়িয়ে দিয়েছিল। এর অনেক অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধুর জয় বাংলা বাঙালির মনে একইভাবে উন্মদনা তৈরি করেছিল। এর কারণ শেখ মুজিব একজন প্রতিষ্ঠান। তিনি ব্যক্তির ঊর্ধ্বে। শোনো একটি মুজিব গানটি তারই প্রতিফলন। ৭ কোটি নিরস্ত্র মানুষের ওপর ক্রমাগত বর্বরতার সীমা ছাড়িয়ে যে উন্মদনা দেখাচ্ছিল এক বর্বর শক্তি। বঙ্গবন্ধু ছিল তারই বাঙালির ত্রাতা। তারই নির্দেশনায় বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে আরও একবার হয়েছিল বাংলার নবজাগরণ।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রর্ত্যাবর্তন দিবসটি বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭২ এর এ দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রর্ত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের পরিপূর্ণতা অর্জন করে। যদিও ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদার মুক্ত হয়। কিন্তু যার নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সেই জাতির জনক তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। কাজেই ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশের ফিরে আসার মধ্যেই নিহিত ছিল স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন এবং বঙ্গবন্ধু পিআই-এর একটি বিশেষ বিমানে করে লন্ডনে পৌঁছান। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে পৌঁছেছিলেন বাংলাদেশে।

এ বিষয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রাপ্ত তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা ভিডিও বার্তায় বলেন, ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে কলকাতাবাসী আগ্রহ ছিল প্রবল। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় কলকাতা বিমানবন্দরে মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য। কলকাতা আকাশে বিমান যখন পৌছায়, তখন ককপিট থেকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কলকাতায় তিনি খুব শিগগিরই আসবেন। সেই ভাষণ বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্চ থেকে রেকর্ড করেছিলাম, যা আমার কাছ ছিল অত্যন্ত সৌভাগ্যের এবং স্মরণীয়।

পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড (গড়ের মাঠে) ১০ লাখেরও বেশি জনসমুদ্রে আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

আলোচনার পর কবিতা গানের মধ্যদিয়ে এ বিশেষ দিনটি কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।