ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মমতাকে নিয়ে সবাই চিন্তিত, কৃষিমন্ত্রীর কী হবে?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
মমতাকে নিয়ে সবাই চিন্তিত, কৃষিমন্ত্রীর কী হবে?

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এবারে হয়ে যাওয়া বিধানসভা ভোটে তিনি জয়ী হয়ে বর্তমানে তিনি কৃষিমন্ত্রী। তবে দলের সুপ্রিমোর ইচ্ছার জন্য নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করেছেন।

 

এদিকে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও ঠিক হয়নি উত্তর ২৪পরগনা খড়দহ কেন্দ্রেভোটের দিনক্ষণ। তাই চরম হতাশায় ভুগছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, ৬ মাসের মধ্যে ভোট না হলে মুখ্যমন্ত্রীর কী হবে? এই নিয়ে রাজনৈতিক মহল মশগুল। কিন্তু যিনি জয়ী কেন্দ্র ছেড়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এবার তার হাল কী হবে?

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ভবানীপুরের সঙ্গে বাকি কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হতে পারত। একই পরিস্থিতিতে যখন ভবানীপুরে ভোট হচ্ছে তখন বাকি কেন্দ্রগুলোতে ভোট করাতেই পারত। কিচ্ছু অসুবিধা ছিল না। এতে অনিশ্চয়তা বাড়লো। এটা কাম্য নয়। পাশাপাশি তাকেই বারে বারে ত্যাগের পরীক্ষা দিতে হয় সেই আক্ষেপও করেছেন এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের দল যখন ভাগ হয়নি, তখন দক্ষিণ ২৪পরগনার বারুইপুর কেন্দ্র থেকে পর পর দুবার হাত চিহ্নে (কংগ্রেসের প্রতীক) শোভনদেব চট্টেপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন। পরে দলভাগ হয়ে মমতার নতুন দলে ঘাসফুল চিহ্নে (তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক) ১৯৯৮ সালে কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন তিনি। ওই সময় গোটা দল হেরে গেলেও তিনিই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে জয়ী হন।

রাজনৈতিক মহলের মতে, আদতে প্রচার বিমুখ শোভনদেববাবু। দলের স্বার্থে জীবনে দু’দুবার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই ঘটনাও বিরলই বলা যায়। ২০১১ তে পেয়েছিলেন মুখ্যসচতেকের দায়িত্ব। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি দপ্তরের মন্ত্রী। ২০২১ সামলাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী হিসেবে। খড়দহ কেন্দ্রে বিধায়ক না হলেও প্রার্থী হিসেবে তার নাম এক প্রকার ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি সেখানে যাতায়াতও করছেন তিনি।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আফসোস করে বলেছেন, বারুইপুর থেকে পদত্যাগ করে আমাকে নিয়ে এলো রাসবিহারী কেন্দ্রে। সেখান জয় পাওয়ার পর আমাকে এবারের নির্বাচনে সরে আসতে হয় ভবানীপুরে। এখানে জয় পাওয়ার পর ফের সেখান থেকে খড়দহে। যদিও খড়ড়দহের উপনির্বাচন ঘোষণা হয়নি। তবে খড়দহে নিয়মিত যাচ্ছি। ওরা আমাকে জনপ্রতিনিধিই ভাবছে। শুধু এটাই আফসোস, আমি অসুবিধায় পড়ে গেলাম। কারণ কৃষিমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে হলে ছয় মাসের মধ্যে আমাকেও জিতে আসতে হবে। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ নভেম্বর। তবে এখন আমাদের মূল লক্ষ্য দলনেত্রীকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে নিয়ে আসতে হবে। সেটাই আমাদের দায়িত্ব।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
ভিএস/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।