ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় বিনা খরচে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
কলকাতায় বিনা খরচে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা প্রতীকী

কলকাতা: নিঃসন্তান দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত দম্পতির জন্য পশ্চিমবঙ্গে প্রথম বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হচ্ছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল অর্থাৎ সরকারি পিজি হাসপাতালে। বেসরকারি হাসপাতালে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।

তবে পিজিতে সেই চিকিৎসা হবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে।

পিজিতে গড়ে তোলা ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) দায়িত্ব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিশিষ্ট বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ড. সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারের প্রতিষ্ঠান পিজির সঙ্গে যৌথভাবে তিন বছরের জন্য কাজ করবে। কীভাবে কেন্দ্রটি চলবে, এ ধরনের চিকিৎসায় কী ধরনের যন্ত্রপাতি থাকা উচিত, বিভিন্ন রুমের গঠন ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা দেবে সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারের প্রতিষ্ঠান। বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি মাসে সাড়ে ছয় লাখ রুপি দেবে রাজ্য সরকার।

তিন বছর পর সমগ্র কেন্দ্রটি এককভাবে চালাবে পিজি হাসপাতাল। তবে এখানে এক ধরনের পদ্ধতি নয়, বিভিন্ন ধরনের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা হবে। আইভিএফের পাশাপাশি ইন্ট্রাসাইটোপ্লাসমাটিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন (আইসিএসআই) পদ্ধতিও প্রয়োগ করা হবে।

বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা পিজিতে চালু করার প্রথম প্রস্তাব বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম খাস্তগীরকে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। তিনি বলেন, কে দায়িত্ব পেলো, তা বড় বিষয় নয়। তবে এটুকু বলতে পারি, এর থেকে ভালো খবর হতে পারে না। বহু গরিব, নিম্নবিত্ত মানুষ অসম্ভব উপকৃত হবেন। খুবই ভালো উদ্যোগ। দেরিতে বিয়ে, কাজের ধরন, স্বামী-স্ত্রী দুজনার চাকরি, খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ম, বিভিন্ন অসুখবিসুখসহ নানা কারণে বন্ধ্যাত্ব বাড়ছে। সমস্যাটি এখন আর সমাজের উঁচুতলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ফলে এ ধরনের আয়োজন আসলে মানুষেরই উপকার হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।

পরিসংখ্যান বলছে, কয়েক বছর আগেও ভারতে প্রতি ৭ দম্পতির মধ্যে একজনের বন্ধ্যাত্ব সমস্যা দেখা যেত। তবে বর্তমান পরিসংখ্যান দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। এখন প্রতি ৫ দম্পতির মধ্যে এক দম্পতি বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছে।

বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, কলকাতাসহ পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি আসাম, ত্রিপুরা এমনকি বাংলাদেশ থেকে অনেক দম্পতি আসেন বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা নিতে পিজি হাসপাতালে আসে। ফলে বিনা খরচে চিকিৎসার এই উদ্যোগ বাঙালিদের অনেক উপকারে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।