ঢাকা: ‘আল্টিমেটাম থাকবে। ঈদ-উল আজহার আগে ট্যানারি স্থানান্তর সম্ভব নয়।
শনিবার (০৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর হাজারীবাগে বাংলানিউজকে কথাগুলো বলেন অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক এম এ মাজেদ।
হাজারীবাগ ট্যানারি ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ-উল ফিতরের ছুটিতে প্রায় সবগুলো ট্যানারি বন্ধ। শনিবার দু’একটি খুললেও নামমাত্র কাজ হচ্ছে। পুরোপুরি সচল হতে এক সপ্তাহ লেগে যাবে।
হাজারীবাগ থেকে সাভারের বিসিক ট্যানারি শিল্পপল্লীতে সব ট্যানারি স্থানান্তরিত হওয়ার কথা থাকলেও কোনো ট্যানারিতে স্থানান্তরের আলামত নেই।
এম এ মজিদ জানান, এখানে ১৫৪টি তালিকাভুক্ত ট্যানারি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর মালিক হবেন ৭০ থেকে ৮০ জন। কুরবানির ঈদের সময় ৫০টি ট্যানারি স্থানান্তর হয়ে যাবে।
‘এ ৫০টি চলে আগে আর বেশি ট্যানারি থাকবে না। হাইকোর্ট ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার যে নির্দেশ দিয়েছেন তা ১৭ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ১৭ জুলাই ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। ব্যাখ্যা দেওয়ার পর হয়তো আদালত ৬ মাস বা ১ বছর সময় বাড়াতে পারেন। তবে সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে’।
এম এ মজিদের ভাষ্যমতে, সাভারের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সম্পূর্ণ হয়নি। সব ট্যানারি চলে গেলে সরকারই বিপদে পড়ে যাবে। সেজন্য সরকারও চায়, সময় আরো বাড়ুক।
‘একটি ট্যানারি স্থানান্তর করতে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার প্রয়োজন। অনেক মালিকের সে প্রস্তুতি নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ আর পানির সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
‘অ্যাপেক্স স্থানান্তরে এতো টাকা লাগবে না। কিছু মেশিন এখান থেকে গেছে, কিছু মেশিন বিদেশ থেকে এসেছে, কিছু আসবে। আমরা স্থানান্তরে পুরোপুরি প্রস্তুত’ বলেও জানান তিনি।
ঢাকা হাইড অ্যান্ড স্কিন ট্যানারি লিমিডেটের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি’।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, পানির জন্য আবেদন করা হয়েছে। ভবনের কাজ চলছে। ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করা সম্ভব হবে।
১৫৪টি ট্যানারির মধ্যে রিলায়েন্স ট্যানারি লিমিটেড ইউনিট-২ নামের একটি ট্যানারি ইতোমধ্যে সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে। আর কোনো ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়নি।
কয়েকটি ট্যানারি ঘুরে দেখা গেছে, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর বর্জ্য ড্রেনের মাধ্যমে নদীতে চলে যাচ্ছে। ট্যানারি বর্জ্যে অতিষ্ট এ এলাকার বাসিন্দারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৬
আরইউ/এএসআর