ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

গরু আমদানিতে শুল্ক বাড়ছে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
গরু আমদানিতে শুল্ক বাড়ছে না

ঢাকা: চোরাচালান নিরোধ ও ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে ভারত থেকে গরু আমদানিতে শুল্ক না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চোরাচালান নিরোধ কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স।
 
রোববার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্সের ১৯১তম ও দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।


 
সভায় টাস্কফোর্স ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। বর্তমানে প্রতি গরু আমদানিতে ৫শ টাকা শুল্ক দিতে হয়।
 
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল হান্নানসহ কয়েকটি সংস্থার প্রধানরা প্রস্তাব করলে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভার একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছে।
 
সভায় প্রস্তাব করা হয়, ঈদকে সামনে রেখে শুল্ক বৃদ্ধি করলে গরু চোরাচালান বৃদ্ধি পাবে। গরুর দাম বেড়ে যাবে ও সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
 
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে শুল্ক বাড়ালে বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সেজন্য প্রতি গরুর আমদানি শুল্ক ৫শ টাকা বহাল থাকবে।
 
সরকারি হিসাবে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ গরু জবাই হয়। এর অর্ধেকই হয় ঈদ-উল-আজহায়। দেশীয় গরুতে চাহিদা না মেটায় আমদানি ও অবৈধ পথে গরু আসে।
 
শুল্ক বিভাগের হিসাবে, প্রতিবছর ভারত থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ গরু-মহিষ বাংলাদেশ আসে। যার বেশিরভাগই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসে।
 
ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর- এ তিনমাসে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করে। তবে বর্তমানে সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় কিছুটা কম আসছে।
 
সূত্র মতে, গতবছর ঈদু-উল-আজহাকে সামনে রেখে আড়াই মাসে বৈধ পথে গরু আমদানি হয়েছে প্রায় দেড় লাখ। যাতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে সাত কোটি টাকা।
 
সভায় চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, টাস্কফোর্স সদস্যদের প্রস্তাব অনুযায়ী শুল্ক বাড়ছে না। এতে চোরাচালান, শুল্কফাঁকি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
 
চোরাচালান নিরোধে দায়িত্বশীল হতে বিভিন্ন সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময়ের ধারাবাহিকতায় চোরাচালানের নতুন নতুন ধারণা ও ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে মানিলন্ডারিংয়ের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ বাণিজ্যভিত্তিক অর্থ পাচারের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চোরাচালানের মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
 
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাস্টমসসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি।
 
সভায় টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান টাস্কফোর্সের কার্যাবলীর নতুন ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
আরইউ/এসএনএস
 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।