ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

১০ শতাংশেরও কম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
১০ শতাংশেরও কম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী

বিশ্ববাজারে যেখানে ২৫ থেকে ৩১ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী, সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ১০ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী।

ঢাকা: বিশ্ববাজারে যেখানে ২৫ থেকে ৩১ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী, সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ১০ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী।

এ কথা জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুটস উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস বাংলাদেশের (এজিডব্লিউইবি) সভাপতি মৌসুমি ইসলাম।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘নারী উদ্যোক্তা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা করছিলেন তিনি।

মৌসুমি ইসলাম বলেন, বিশ্বের ১৩২টি দেশের মধ্যে উদ্যোক্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম। পর্যায়ক্রমে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও সুইডেন। উন্নত দেশে নারীরা কেবল বড় ভোক্তা নন, তারা বড় উদ্যোক্তাও হয়ে উঠছেন।  

তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে ২৫ থেকে ৩১ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী, সেখানে বাংলাদেশে ১০ শতাংশেরও কম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক নারী। এ চিত্র হতাশাজনক।  

এর পেছনের প্রধান কারণ উল্লেখ করে মৌসুমি ইসলাম বলেন, উদ্যোক্তা হতে যেসব সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক সমর্থন প্রয়োজন বাংলাদেশের নারীরা তা পান না। প্রতিবছর ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের মাত্র ৪ শতাংশ পান নারী উদ্যোক্তারা।  
 
এজিডব্লিউইবি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে কর্মরত। ইদানীং  বাধা-বিপত্তির মধ্যেও তারা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠছেন। এতে বেশ কিছু সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যাংকিং সেবা না পাওয়া, পুরুষের তুলনায় শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, দেরিতে ব্যবসা শুরু করা, পরিবারের দায়িত্ব ও বাজার এবং ঋণের পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা।  
 
সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বল‍া হয়, নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত হাতে তৈরি পণ্য বিক্রির কাজে। এই সংখ্যা মোট উদ্যোক্তার ৪৭ শতাংশ। পোশাক ও পণ্যের নকশার কাজে ২৮ শতাংশ, তৈরি পোশাক খাতে ১৩ শতাংশ এবং কৃষিজাত সংক্রান্ত ব্যবসার কাজে ১১ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা নিয়োজিত।  
 
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে তারা পারছেন না। ব্যাংকগুলো যে ঋণ দিচ্ছেন তার মাত্র ৪ শতাংশ পাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। নারী  উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে স্বল্প সুদে ঋণ, গ্যারান্টির জটিলতা, নিরাপদ বাজার নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে নারীদের নামে ঋণ নিয়ে অন্য খাতে ব্যবহার বন্ধ ইত্যাদিও।

এজিডব্লিউইবি ও আইএফআইসি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহম্মেদ, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) ও আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ এ সারোয়ার।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।