ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

মধ্যপ্রাচ্য-অস্ট্রেলিয়ার বাজারে যাবে ‘কারিগর’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
মধ্যপ্রাচ্য-অস্ট্রেলিয়ার বাজারে যাবে ‘কারিগর’ কারিগরের স্টলে ক্রেতারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা:  মধ্যপ্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি চামড়াজাত পণ্য রফতানি করবে ‘কারিগর’। ফলে সামনের বছরগুলোতে চামড়াজাত পণ্য রফতানি আরও বাড়বে। বড় বড় উদ্যোক্তাদের পাশে এসে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টি এখন রপ্ত করা হচ্ছে।

কথাগুলো জানালেন ‘কারিগর’ এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার তানিয়া ওয়াহাব। চামড়া শিল্প নিয়ে কাজ করা নারী উদ্যোক্তাদের একজন তিনি।

একইসঙ্গে লেদার কেইভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে দেশের চামড়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডশো অন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার মেশিনারি, কম্পোনেন্টস, কেমিকেলস অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ (লেদারটেক শো’)-এর প্রদর্শনী।

চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৫টি রাষ্ট্রের ১৭১টি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পখাতের সংগঠক, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।  

‘কারিগর’ সাধারণত ছেলে-মেয়েদের জুতা, ব্যাগ, চামড়ার ফাইল, চাবির রিংসহ বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য বানাচ্ছে। আগে তাদের তৈরি জিনিসপত্র গেছে জাপান, সুইডেন, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে। এখন মধ্যপ্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় বাজার সম্প্রসারণে মনোযোগী প্রতিষ্ঠানটি।

তবে কারিগরের তৈরি চামড়াজাত পণ্যের বেশিরভাগ দেশি বাজারে যাচ্ছে। গুণগত মান এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি চামড়াজাত পণ্য তৈরিতে জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

কারিগরের স্টলে তানিয়া ওয়াহাব-ছবি-বাংলানিউজতানিয়া জানান, এখন পর্যন্ত তাদের চামড়াজাত যেসব পণ্য তৈরি হচ্ছে তার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিদেশে যাচ্ছে। আগামী বছর বড় ধরনের রফতানির লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের প্রদর্শনীতে এসে বড় বড় উদ্যোক্তারা যেভাবে পণ্য নিয়ে বায়ারদের সঙ্গে চুক্তি করছেন, কোনো থিম বা কালার ম্যাচ করছে, সেটি আমরা দেখছি-শিখছি’।  
তানিয়া আরও বলেন, ‘এখন আর দাদা-বাবার হাত ধরে ছেলে বা নাতি যে এ শিল্পে আসছেন, তা কিন্তু না। অনেক নতুন ‍উদ্যোক্তা এসেছেন। নতুন প্রযু্ক্তির ব্যবহারের ফলে পণ্যের গুণগত মানের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে বাজার সম্প্রসারণই সবার লক্ষ্য থাকছে’।

‘কিন্তু ডিজাইনের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। এটিরও এখন আমরা ডেভেলপের করার চেষ্টা করছি’।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ডিজাইনের প্রয়োজন। আগে বায়ার যে ডিজাইন দিতেন বা ডিজাইন কপি করা হতো। নিজস্ব ডিজাইন ডেভেলপ করা গেলে দেশেরও লাভ। বাইরে থেকে টাকা খরচ করে ডিজাইন আনতে হবে না’।

তানিয়া বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি দেশীয় লেদার ব্যবহার করছি। কারণ, দেশীয় লেদার অনেক সম্ভাবনাময়। কিছু লেদার কেমিকেল আছে, যেগুলো সাইজে অনেক বড়। এগুলো বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এসএ/আরআর/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।