ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

শিগগিরই অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পনীতিমালা প্রণয়ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
শিগগিরই অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পনীতিমালা প্রণয়ন ...

ঢাকা: জাতীয় অর্থনীতিতে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতের অবদান বৃদ্ধি এবং এ খাতের টেকসই বিকাশের লক্ষ্যে শিগগিরই অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পনীতিমালা করবে শিল্প মন্ত্রণালয়।

এ লক্ষ্যে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (আইএসআইএসসি) নীতিমালার একটি রূপরেখা প্রণয়নের কাজ করছে। সংস্থাটি চলতি বছর জুনের মধ্যে এর খসড়া চূড়ান্ত করে শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।

তার ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় নীতিমালা প্রণয়ন করবে।  

সোমবার (২৭ মে) রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে আয়োজিত ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতের জন্য নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন সংক্রান্ত দিক-নির্দেশনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) আওতায় গঠিত অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (আইএসআইএসসি) এর আয়োজন করে। শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশের মোট শ্রম শক্তির প্রায় ৮৭ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প ক্ষেত্রে নিয়োজিত। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ নারী-পুরুষ শ্রম বাজারে প্রবেশ করে, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাত। এ শিল্পখাতে নিয়োজিত শ্রমিক এবং উদ্যোক্তা উভয়েরই নানামুখী সমস্যা থাকলেও জাতীয় শিল্পনীতিতে তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প ও অর্থনৈতিক খাতের টেকসই বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

মোট দেশজ উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অবদান বিবেচনা করে দ্রুত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে এ খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।  

জানা গেছে, দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগাতে একটি নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে একটি মানসম্মত খসড়া রূপরেখা প্রণয়নের জন্য আইএলও’র সহযোগিতায় অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (আইএসআইএসসি) ‘স্ট্রেংদেনিং দ্য ক্যাপাসিটি অব আইএসআইএসসি টু ফরমুলেট ড্রাফ্ট পলিসি গাইডলাইনস ফর ইনফরমাল সেক্টর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও খুলনায় অংশীজনদের নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া রাঙ্গামাটি, গাজীপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও ঢাকায় ফোকাস গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে নীতিমালার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এসব মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালার খসড়া রূপরেখা চূড়ান্তকরণের জন্য এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়, এনএসডিএ, বিসিক, সুইস কন্ট্রাক্ট ও অ্যাকশন এইডের কর্মকর্তা, সরকারি, বেসরকারি ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতে জড়িত বিভিন্ন ট্রেডের মালিক, শ্রমিক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসআইএসসি’র পরামর্শক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস। এতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমো পৌটিয়ানেন, আইএসআইএসসি’র চেয়ারম্যান মির্জা নূরুল গণি শোভন বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।