ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

ওয়ালটনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স কিনে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
ওয়ালটনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স কিনে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ ওয়ালটন পণ্য

ঢাকা: পৌষের শুরু। এরই মধ্যে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। ফলে সারাদেশে বাড়ছে শীতকালীন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদা। এ চাহিদার সিংহভাগ পূরণের টার্গেট নিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

শীতে ব্যবহার উপযোগী হোম অ্যাপ্লায়ান্সেসের প্রায় দেড়শ মডেলের পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে ওয়ালটন শোরুমগুলো। পণ্য সম্ভারে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য নতুন মডেল।

কালার ও ডিজাইনে এসেছে বৈচিত্র্য।

এদিকে শীত উপলক্ষে হোম অ্যাপ্লায়েন্স ক্রেতাদের জন্য পণ্য ভেদে আকষণীয় অঙ্কের নগদ ছাড়, বিদেশ ভ্রমণ, ফ্রি হোম ডেলিভারিসহ নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনে চলছে ‘কাপল কার্নিভাল’। এর আওতায় ওয়াশিং মেশিন কিনলেই পাতায়া, মালয়েশিয়া ও নেপালে ফ্রি কাপল ট্যুর পেতে পারেন ক্রেতারা। এছাড়াও অনলাইনে ই-প্লাজায় ক্রেতাদের জন্য ‘ইয়ার এনড উইন্টার ক্লিয়ারেন্স সেলস’ শুরু হয়েছে। এর আওতায় ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রেতারা বিভিন্ন মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের ওপর পেতে পারেন ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ ছাড়। কার্ড বা বিকাশ পেমেন্টে মিলবে ১০ শতাংশ নগদ ছাড় এবং জিরো ইন্টারেস্টে ছয় মাসের ইএমআই সুবিধা।

সূত্রমতে, শীতে দৈনন্দিন গৃহস্থালী কাজ আরামদায়ক করে তুলতে ওয়ালটন বাজারে এনেছে ২০ ধরনের বেশি হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ১২ মডেলের ওয়াশিং মেশিন, ৯ মডেলের রুম হিটার, ৬ মডেলের ওয়াটার হিটার বা গিজার, ২৫ মডেলের রাইস কুকার, ২৩ মডেলের আয়রন বা ইস্ত্রি মেশিন, ১৯ মডেলের ব্লেন্ডার ও জুসার,  ১৬ মডেলের আয়রন মেশিন, ২ মডেলের ইলেকট্রিক ওভেন ও ১১ মডেলের মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ১৪ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি, ৮ মডেলের ওয়াটার পিউরিফায়ার ও ৩ মডেলের ওয়াটার ডিস্পেন্সার, ৫ মডেলের ট্রিমার, ৪ মডেলের হেয়ার ড্রায়ার, ৩ মডেলের ইলেকট্রিক মাল্টি কুকার, ৪ মডেলের প্রেসার কুকার, ২টি করে মডেলের মিক্সার, হেয়ার স্ট্রেইটনার, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, শেভার ও রুটি মেকার। একটি করে মডেলের ইন্ডাকশন কুকার, ইনফ্রারেড কুকার ও কফি মেকার ইত্যাদি। এর মধ্যে শীত উপলক্ষে নতুন এসেছে প্রায় অর্ধ-শত মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্স।

ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিভাগের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, সাশ্রয়ী মূল্য, উচ্চ গুণগত মান, দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা এবং অসংখ্য বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও কালারের কারণে ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০০ শতাংশ বেশি হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। এর মধ্যে একই সময়ে ওয়ালটন গ্যাস স্টোভ বিক্রিতে ১৩২ শতাংশ, ব্লেন্ডার বিক্রিতে ১২৮ শতাংশ, রাইস কুকার বিক্রিতে ২০৬ শতাংশ, ওয়াশিং মেশিন বিক্রিতে ৮৬ শতাংশ, ইলেকট্রিক ও মাইক্রো ওভেন বিক্রিতে ৩৫ শতাংশ এবং আয়রন বা ইস্ত্রি বিক্রিতে ৭৭ এবং জেনারেটর বিক্রিতে ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাশরুর হাসান বলেন, শীতে ধূলা-বালির পরিমান বেশি থাকে। ফলে, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য এই শীতে ২০ হাজার ৫ টাকা মূল্যের এয়ার পিউরিফায়ার বাজারে এনেছে ওয়ালটন। শীতে কাজ সহজ করতে ওয়ালটন বাজারে এনেছে তিন হাজার ৩শ টাকা মূল্যের ইন্ডাকশন কুকার, তিন হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ইনফ্রারেড কুকার এবং দুই হাজার ও তিন হাজার টাকা মূল্যের দুই মডেলের হট প্লেট কুকার।

জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে নিজস্ব কারখানায় তৈরি উচ্চমানের ইন্ডাকশন কুকার ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে। এর প্রধান কারণ- সাশ্রয়ী মূল্য ও কম বিদ্যুৎ খরচ। সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সারা মাস রান্নায় যে টাকা খরচ হয়, তার অর্ধেকেরও কম খরচ হয় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইন্ডাকশন কুকারে রান্নায়।

ওয়ালটন আয়রন বা ইস্ত্রি মেশিনের দাম পড়ছে ৭৩০ টাকা থেকে ৫ হাজার ৮৫০ টাকা পর্যন্ত। ইলেকট্রিক ওভেন পাঁচ হাজার ৮শ ও ছয় হাজার টাকায় মিলবে। বিভিন্ন সাইজের ১১ মডেলের মাইক্রোওয়েভ ওভেনের দাম ৬ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ১৯ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। ১২ মডেলের ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যাচ্ছে ছয় হাজার ৯শ টাকা থেকে ৪৫ হাজার ৫শ টাকায়। রাইস কুকারের দাম ১৬শ থেকে তিন হাজার ২শ টাকা। ইন্সট্যান্ট ওয়াটার হিটার বা গিজার পাওয়া যাচ্ছে চার হাজার ১৫০ টাকায়, ছয় হাজার ৫শ টাকায় এবং আট হাজার ৫শ টাকায়। মডেলভেদে ওয়াটার হিটার পাওয়া যাচ্ছে সাত হাজার ৭শ, আট হাজার ৮শ ও নয় হাজার ৯শ টাকায়।

দেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।