ঢাকা: তরুণ উদ্ভাবকদের মেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার তাগিদ দিলেন সংসদ সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক।
তিনি বলেন, তরুণরা মেধার প্রয়োগ করেছেন।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল মেলা-২০২৩ সমাপনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোস্তাফা জব্বার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
মেলায় ৭৭টি স্টল, ছোট্ট বড় ৫২টি প্যাভিলিয়ন ছিল। এবারের মেলার স্লোগান ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশর সংযুক্তির মহাসড়ক’। মেলায় প্রযুক্তি সেবা কোম্পানিগুলো তাদের উদ্ভাবিত পণ্য প্রদর্শন করে। উচ্চতর প্রযুক্তির প্রদর্শন করে দেশি-বিদেশে কোম্পানিগুলো। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ইনোভেশন চত্ত্বর। যেখানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবিত পণ্য ও সেবা নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
ইনোভেশন চত্ত্বরে পানি তোলার যন্ত্রের স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার ও অগ্নিকাণ্ড থেকে জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে আবিষ্কার করা রোবটসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্য প্রদর্শন করা হয়। যা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তৈরি। এ ছাড়া প্রদর্শিত হয় তরুণদের তৈরি নানা রকম যন্ত্রপাতি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ সব সৃষ্টিশীল তরুণদের কর্ম তুলে ধরার জন্যই এই মেলা। তরুণরাও এ ধরনের মেলায় তাদের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরার জন্য অপেক্ষা করে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আছে। এসব তরুণকে কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০২১ সালে ডিজিলটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রা শেষ হয়েছে। আগামীতে অভিযাত্রা স্মার্ট বাংলাদেশের। এসব প্রযুক্তি মনস্ক তরুণরাই গড়বে সেই বাংলাদেশ।
রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় অনেকে ব্যঙ্গ করেছে। গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে ব্যঙ্গ চিত্র। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বর্তমান শতভাগ সফল। আর মহামারি করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়েছে, অফিস আদলাতের যোগাযোগ সম্পন্ন হয়েছে এবং আর্থিক লেনদেনসহ নানা রকম কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। যারা ব্যঙ্গ করতো তারাও আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে।
মেলার মধ্যে দিয়ে শেষ নয়, তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এসব তরুণদের প্রতিযোগ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এই সংসদ সদস্য।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে তরুণদের পরিচয় করে দেওয়ার যে উদ্দেশ্য নিয়ে মেলা অনুষ্টিত হয়েছে, তা সফল হয়েছে। এবারের মেলায় এক লাখের বেশি তরুণ মেলা ঘুরে গেছে। যারা সবাই আধুনিক প্রযুক্তি মনস্ক ও পপুলেশন ডিভিডেন্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধি। যারা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বিভিন্ন বিভাগে উদ্ভাবন ও বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ