ঢাকা: আইসিটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত হয়েছে আইসিটি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বেসিস সফট এক্সপো’র তৃতীয় দিনের সেমিনারে খাত সংশ্লিষ্টরা এ কথাগুলো বলেছেন।
সেমিনারে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ‘ইউজ অব আইসিটি অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’। বেসিস অ্যাডভাইজরি স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম রাশিদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম ও বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূচক সমাপনী বক্তব্য দেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। তিনি দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষ মূল্যায়নের পাশাপাশি সরকার, শিল্পখাত ও একাডেমিক সমন্বয়ের ৩/৩ ফর্মুলা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আইসিটিকে নিয়ে স্বপ্ন জেগেছে আমাদের, এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক গঠনে আমরা কাজ করেছি, এর সুফল ভোগ করছে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক। এরইমধ্যে ৩২ লাখ স্কুল শিক্ষার্থীর ব্যাংকিং সুবিধা চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে।
সিলিকন ভ্যালিতে ১০ জন প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডল বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে বর্তমানে ১০ জন আইসিটিবিদের মধ্যে পাঁচজন ভারতের। আমি চাই আগামীতে বাংলাদেশের দুজন থাকবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে যত মামলা হয় তার ৭০ শতাংশ জমিবিষয়ক। এ ধরনের মামলা আইসিটি ব্যবহার করে সহজেই সমাধান করা সম্ভব। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে আমাদের দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষের নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করতে হয়। এটাও কমিয়ে আনা সম্ভব। বতর্মানে আধুনিক সব স্মার্টওয়াচ ব্যবহার হচ্ছে। স্বাস্থ্যর সব তথ্য স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। আইসিটি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রতিবছর ২১ লাখ তরুণ-তরুণী জব সেক্টরে প্রবেশ করছে, সবাইকে জব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আইসিটি টুলস ব্যবহারের ফলে ৫০ শতাংশ মানুষের পরিবর্তন ঘটবে। মর্ডান টেকনোলজির মাধ্যম কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটানো সক্ষম হবে। জমিতে কতটুক পানি, সার প্রয়োজন সব কিছুই আগে থেকে আইসিটি ব্যবহারের ফলে জানা যাচ্ছে। তবে আইসিটি সঠিক ব্যবহারের জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী প্রয়োজন, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি