ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইলন মাস্কের স্টারলিংক কীভাবে ইন্টারনেট সেবা দেবে, দেখলেন মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
ইলন মাস্কের স্টারলিংক কীভাবে ইন্টারনেট সেবা দেবে, দেখলেন মন্ত্রী

ঢাকা: কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্টারলিংক থেকে কীভাবে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যেতে পারে- সে বিষয়ে অবগত হলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সংশ্লিষ্টরা।

স্টারলিংকের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয়ে এই উপস্থাপনা পেশ করে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

 

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির কমিশনারবৃন্দ এবং মহাপরিচালকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ইলন মাস্কের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা স্পেসএক্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে আগ্রহী। সম্প্রতি তাদের একটি প্রতিনিধি দল তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দেখা করে তাদের আগ্রহের কথাও জানান।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা ম. শেফায়েত হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা মোবাইল ফোন টাওয়ার ও সাবমেরিন কেবলনির্ভর হলেও স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়।

‘স্টারলিংক এলে বিরূপ আবহাওয়ায় কতটা কাজ করবে, ডিভাইসগুলোর চুরি রোধ, সেবার বিনিময়ে ডলারের পেমেন্টের বিষয়গুলো কী হতে পারে- সেসব বিষয় উপস্থাপনায় উঠে আসে। পাশাপাশি জননিরাপত্তার কারণে আইনি নজরদারির বিষয়েও আলোচনা হয়। ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছে কী যাচ্ছে, তাতে সরকারের নজর রাখার বিষয় ইত্যাদি উপস্থাপনাকালে উঠে আসে। দেশে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সংযোগগুলোর গেটওয়েতে সরকারের নজরদারি প্রযুক্তি বসানো থাকে। জাতীয় স্বার্থে সরকারের এই নজরদারির বিষয়, দেশের আইন, উদ্দেশ্যেসহ ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপনকালে উঠে আসে। ’

টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্টারলিংককে বাংলাদেশে আসতে টেলিযোগাযোগখাতের নিয়ন্ত্রণকারী বিটিআরসির লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। এই ক্ষেত্রে আইনি নজরদারিতে প্রযুক্তিগত ও নীতিগত বিষয় রয়েছে। এছাড়াও যেসব অঞ্চলের জন্য এই সেবা, সেখানকার মানুষের খরচ বহনের সক্ষমতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা, কমিউনিটি স্যান্ডার্সসহ ইত্যাদি বিষয় জড়িত।  
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট কোম্পানিরই সক্ষমতা আছে দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার। স্টারলিংক এলে কী উপকার হবে, স্টারলিংকের সেবা দেশের বিদ্যমান কাঠামোকে কতটা চ্যালেঞ্জ করবে এগুলোও বিবেচ্য বিষয়। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা হওয়ায় স্টারলিংক ব্যবহার করার জন্য অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়, যা অনেকটা ছোট আকারের ডিশের মতো। এই অ্যান্টেনা দিয়ে ভবনের যেকোনো প্রান্তে ইন্টারনেট সিগন্যাল পাওয়া যায়।

গত ২৬ জুলাই গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার জোয়েল মেরিথ ও গ্লোবাল লাইসেন্সিং অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন ম্যানেজার পার্নিল উর্ধাওরেস আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে বৈঠক করেন।  

ওই বৈঠকের পর পলক জানান, দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটে সংযুক্ত রাখতে স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের পাইলট কার্যক্রম দ্রুতই শুরু হবে।

পলক আরও জানান, ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন বা দুর্যোগ কবলিত জনগোষ্ঠীকে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটে সংযুক্ত রাখতে আশা করছি দ্রুতই পাইলট কার্যক্রম শুরু হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।