ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

১৫ বছরে টায়ার-থ্রি ডেটা সেন্টার ‘কোলোসিটি’

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
১৫ বছরে টায়ার-থ্রি ডেটা সেন্টার ‘কোলোসিটি’

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এ বিশ্বে ডেটা সেন্টার তথা তথ্যকেন্দ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় একটি অনুষঙ্গ। বিশেষজ্ঞদের মতে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মুদ্রা হবে তথ্য।

যার কাছে যত বেশি তথ্য, সে তত বেশি ধনী; তত বেশি প্রভাব বিস্তারকারী।  

বিশ্বে সর্বাধিক সংখ্যক ডেটা সেন্টার রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। বাংলাদেশে ডেটা সেন্টারের সংখ্যা হাতে গোনা। তার মধ্যে অন্যতম কোলোসিটি লিমিটেড। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি দেশে প্রথম ‘টায়ার-থ্রি ডেটা স্ট্যান্ডার্ড সেন্টার’ সেবা চালু করে। যেখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সাপ্লাই সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সার্ভার, কুলিং সিস্টেম, নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, প্রাইমারিসহ সেকেন্ডারি ও ব্যাকআপ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট রয়েছে।  

নিরাপদ ডেটা সংস্থান ও জিরো ডাউনটাইমে গুরুত্ব দিয়ে গত ১৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কোলোকেশন পরিষেবাগুলো গ্রাহককে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা ও অপারেশনাল নির্ভর যোগ্যতায় ডেটা সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এজন্য ব্যবহার করা হয় একাধিক ইন্টারনেট লাইন ও এনটিটিএন।

কোলোসিটি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইমাদ ইস্পাহানি বলেন, বাংলাদেশি তরুণ মেধাবী প্রকৌশলী ও পেশাজীবীদের ওপর আস্থাশীল, উপযুক্ত অবকাঠামো এবং সুযোগ পেলে তারা বিশ্বমানের প্রযুক্তি তৈরি করতে পারে, যা দেশ ও দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক সুবিধা বয়ে আনবে। তাই ১৫ বছর আগে আমরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের কোলোকেশন ডাটা সেন্টার তৈরি করি।

তিনি আরও বলেন, সেখানেই আমরা থেমে থাকিনি, আমরা বাংলাদেশে প্রথম মাইক্রোসফট অ্যাজুর স্ট্যাক হাব ক্লাউড নিয়ে আসি, যেন বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং নতুন তরুণ উদ্যোক্তারা দেশে বিশ্বসেরা ক্লাউড সার্ভিস পেতে পারেন। আমরা টায়ার-থ্রি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে স্বীকৃত এবং আইএসও ৯০০১:২০১৫ ও আইইসি ২৭০০১:২০১৩ দ্বারা প্রত্যয়িত।

ইমাদ ইস্পাহানি বলেন, শিগগিরই তারা ঢাকার বাইরে আরও দুটি ডেটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ খাতে আমাদেরও বড় আকারের বিনিয়োগ রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ডেটা কমপ্লায়েন্সের নিশ্চয়তা, ডেটার নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় সমাধান আমরা ২৪/৭-এর মধ্যে দিয়ে থাকি। পাশাপাশি আমরা দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপদ ডিজিটাল সেবা দিচ্ছি মাইক্রোসফট অ্যাজুর স্ট্যাক হাব হাইব্রিড ক্লাউড ‘কোলোসিটি.ক্লাউড’ এর মাধ্যমে।

কোলোসিটি লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. আল ফুয়াদ বলেন, বর্তমানে আমাদের ডেটা সেন্টারে ১০০টির অধিক র‌্যাক রয়েছে, যা বাংলাদেশে অন্যতম। আমাদের সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন পার্টনার হিসেবে রয়েছে অ্যাক্রোনিস, জিম্ব্রা, মাইক্রোসফট, ডেল, স্প্যাম টাইটান ও ব্যারাকুডার মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান। আমাদের গ্রাহক হিসেবে রয়েছে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট, ব্যাংক-বিমাসহ দেশি-বিদেশি ৬০টির অধিক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।