ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক যুগ আগে যা স্বপ্ন ছিল, এখন তা বাস্তব: পলক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এক যুগ আগে যা স্বপ্ন ছিল, এখন তা বাস্তব: পলক 

রাজশাহী: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, রাজশাহীকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। এক যুগ আগেও আমাদের কাছে অনেক উন্নয়ন ছিল স্বপ্ন, কিন্তু আমরা এখন তার বাস্তব রূপ দেখছি।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দপত্র বিতরণ এবং স্মার্ট রাজশাহী ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২৩-এর বিজয়ী তিন দলের মাঝে প্রাইজমানি বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ একর জায়গাজুড়ে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা এই হাইটেক পার্কটি তরুণদের কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। এতে রয়েছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার ও জয় সিলিকন টাওয়ার, যেখানে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এখানে তৈরি হচ্ছে উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তারা তৈরি করছেন আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স প্রোগ্রাম, অ্যাপ ও ভেন্ডিং মেশিনসহ অনেক কিছু। তারা দেশে নিয়ে আসছেন বৈদেশিক মুদ্রা।

আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই এখানে ১৪ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর সরাসরি কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  

পলক বলেন, সব কার্যক্রম শেষে রাজশাহী সিলিকন সিটিতে রূপান্তরিত হবে। এর মাধ্যমে রাজশাহী দেশের অন্যতম ডিজিটাল কর্মসংস্থানের হাব হয়ে উঠবে।  

এ সময় তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ থেকে পুঁজি দিয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

রাজশাহী নগরীর উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, সিসিকের মেয়র সিলেট নগরীকে রাজশাহীর মতো সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তরিত করতে চান। রাজশাহীর অভূতপূর্ব উন্নয়ন তাকে মুগ্ধ করেছে। সিলেট নগরীতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা দিতে রাসিক পাশে থাকবে। তিনি সিলেট ও রাজশাহীকে ‘টু সিস্টার’স হিসেবেও উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আটটি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দপত্র প্রদান, চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এ অংশ নেওয়া বিজয়ী দলগুলোকে প্রাইজ মানি তুলে দেন।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক একেএএম ফজলুল হক ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (কারিগরি) ব্যারিস্টার গোলাম সওয়ার ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।