ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধ সংরক্ষণ করতে হবে

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১২
অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধ সংরক্ষণ করতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্ত্বরে ‘অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও ডকুমেন্টরি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্লগে বা ফেসবুকে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা যতটা সক্রিয় সেই তুলনায় মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সমৃদ্ধ আলোচনা চোখে পড়ে না।

এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটা শ্রেণী মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের বিচার এমনকি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।

ফলে মুক্তিযুদ্ধের অনলাইন প্রচারনায় তরুণদের আরও সক্রিয় হতে হবে। কারো ওপর দায় না চাপিয়ে কাজটা নিজেদেরই করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি আয়োজিত এ মুক্ত আলোচনা ও প্রদশর্নীতে বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মুনির হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও ব্লগার অমি রহমান পিয়াল, সাংবাদিক ও ব্লগার আরিফ জেবতিক, ব্লগার ত্রিশঙ্কু মল্লিক, ব্লগার ইমরান এইচ সরকার, ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনো পেইজের অ্যাডমিন সাদমান সাদেক, ডিইউআইটিএস সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ দেওয়ান।

বক্তারা বলেন, নানা কারণে বিকৃত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বদলে গেছে চেতনাও। দীর্ঘ এ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ তাই দূরের শোনা গল্প।

সময় এখন তথ্যপ্রযুক্তির। নবীর প্রজন্মের অধিকাংশই ফেসবুক, টুইটার বা ইয়াহু চ্যাটরুমে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছে। ফলে অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে না পারলে আগামী প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৈরি ‘মুক্তিযুদ্ধের একটি দিন’ শিরোনামে একটি দূর্লভ ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়াও ঢাবির মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির ধারক ঢাকসু সংগ্রহশালাকে অনলাইনে রুপান্তর ও একটি ভার্চুয়াল আর্কাইভ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় ২০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।