ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশের জন্য আইসিটি ব্র্যান্ডিং জরুরি

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১২
দেশের জন্য আইসিটি ব্র্যান্ডিং জরুরি

‘বি দ্য চেঞ্জ, স্টার্ট গ্রিন নাও’ বার্তাকে সামনে রেখে দেশের বৃহৎ কমপিউটার মার্কেট মাল্টিপ্ল্যান কমপিউটার সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১২’। ঢাকায় ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৬ দিনব্যাপী এ আয়োজন বসেছে।



এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা-১২ আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অ্যাসোসিওর সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফী, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ফয়েজউল্যাহ খান, কিউবির সিইও ফায়সাল হায়দার, বিআইজেএফ সভাপতি মুহম্মদ খান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এসএ কাদের কিরণ, বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোতাহার হোসেন মুক্তা, এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আমির হোসেন।

প্রসঙ্গত, এ ছাড়াও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। একটি দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে ব্র্যান্ডিং খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রী এ জন্যই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি এবং ‘ভিশন ২০২০’ ঘোষণা করেছেন।

এবার বাংলাদেশের একটি নতুন পরিচয় দিতে সরকারি খাতের সঙ্গে বেসরকারি খাত ও ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, ট্রাইবুনালগুলোতে বিচারিক কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। এটা একটা দুঃসাহসিক কাজ। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা আবার ছোবল মারার চেষ্টা করছে। তাদের সব প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়ে জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবার রায়টা আদায় করে নিতে হবে।

এ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এ্যালিফ্যান্ট রোডে দীর্ঘদিন বসবাসের স্মৃতিচারণ করেন এবং এখানে বিশাল কম্পিউটার মার্কেট গড়ে ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ প্রদর্শনী তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করবে এবং পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রদর্শনীর আহ্বায়ক তৌফিক এহেসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রদর্শনীর সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার এবং তাসলিমা মিজি। এতে বক্তব্য রাখেন মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার দোকান মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাজারী, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান এবং প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মীর রফিকুল ইসলাম বিল্লু।

এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এ প্রদর্শনী সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও পণ্য দেশের মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলতে এ প্রদর্শনী কার্যকরী অবদান রাখবে।

বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ। সারা বিশ্বেই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এ কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে একটি কম্পিউটার প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুধু প্রযুক্তিপণ্য কেনাবেচাই নয়, প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে প্রযুক্তি বর্জ্যরে ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরি করা এবং সবুজ পৃথিবী গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে দেশের বৃহত্তম আইসিটি মার্কেটের সাড়ে পাঁচ শতাধিকের বেশি আইটি প্রতিষ্ঠান। বিখ্যাত আইসিটি ব্র্যান্ড এ প্রদর্শনীতে পৃষ্ঠপোষকতা করবে। স্পন্সর হিসেবে আরও আছে, আসুস, গিগাবাইট, বুলগার্ড, লজিটেক, ফুজিৎসু এবং টিপ-লিঙ্ক।

এ প্রদর্শনীতে কিউবি মডেম কিনলেই পাওয়া যাবে ফ্রি টার্টেল ব্যাগ। এ ছাড়াও বুলগার্ড অ্যান্টিভাইরাসে মিলবে বিশেষ মূল্যছাড়। আগ্রহীরা (www.digitalictfair.com) এ সাইটে তথ্য পাবেন। আর প্রয়োজনে (events@digitalictfair.com) এ ঠিকানায় ইমেইলও করা যাবে।

বাংলাদেশ সময় ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।