ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলানিউজকে এম এ মুবিন খান

ইন্টারনেট ও অ্যাপ এখন অবিচ্ছেদ্য সেবা

মনোয়ারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৩
ইন্টারনেট ও অ্যাপ এখন অবিচ্ছেদ্য সেবা

ইন্টারনেটের নানামুখি ব্যবহার আর মোবাইল অ্যাপস জীবনের অবিচ্ছেদ সেবায় পরিণত হয়েছে। কারণ ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল সেবা ছাড়া কোনো মানুষ আধুনিক জীবনযাত্রার সুবিধা ভোগ করতে পারে না।

মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপসের ব্যবহার জীবনযাত্রাকে সহজ আর আরামদায়ক করেছে।

বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এথিক্স অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইএটিএল) এমএ মুবিন খান এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে প্রথমবার আসছে ইএটিএল অ্যাপস টুল। এর মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক জটিল কাজের দ্রুত সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, ১২ বছর আগে ১৯৯৯ সালে ইএটিএল যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্পে মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছিল। এখন এ খাতে অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে।

বুয়েটের ৬ জন প্রোগ্রামারকে নিয়ে প্রথম কাজ শুরু। তাও আবার অ্যাপস স্টোর নিয়ে। শুরুতে লোকেশন আঞ্চলিক সেবা দেওয়া হয়। সরকার বা মালিকেরা উদ্বিগ্ন থাকে প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগ কাজ করছে কি না। লোকেশন বেজড সার্ভিস জিপিএসয়ের মাধ্যমে অটো রিপোর্ট, ভয়েস কল এবং এসএমএস মাধ্যমে মোবাইলে তথ্য পাওয়া যাবে।

ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে সেবা দেওয়া শুরু হয়। মোবাইলে কল যেভাবে আসে তা রিসিভ করলেই সে ভয়েস মেসেজ শুনতে পারবে। এটা আসলে একটা প্রি রেকর্ডেট মেসেজ। নিত্যনতুন সেবা তৈরির জন্য ১০ জনের ইনোভেশন টিম কাজ করছে। তারা শুধু নতুন সেবা নিয়ে গবেষণা করছে।

কিন্ত অবকাঠামো, দক্ষ জনবল আর অর্থায়নের অভাবে দেশের আইসিটি খাতে প্রত্যাশিত অগ্রসর হতে পারছে না। আইসিটিকে সরকার তৃতীয় খাত হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার আইসিটি খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্ত আইনের চাপে পড়েছে উদ্যোক্তারা।

সফটওয়্যার বা অ্যাপসের ওপর ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট সহযোগিতা করছে না। সমস্যা সমাধান হলে আমি দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারি বাংলাদেশ এশিয়ার আইসিটিতে শক্তিশালী দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে।

স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও দেশে টেকনোলজি পার্ক হয়নি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে দেশে বিশেষ একটি জায়গার দাবি দীঘেদিনের। যেখানে গড়ে উঠবে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারী সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো।

সরকার বলছে, আইসিটি খাতের উন্নয়নে তারা পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের খরচ কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গাজিপুরের কালিয়াকৈরে একটি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্ত এ কাজে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এটা কবে আলোর মুখ দেখবে তারও কোনো দিনক্ষণ নেই। শক্তিশালী একটি আইসিটি শিল্প খাত গড়ে তোলার এখন সময়ের যৌক্তিক দাবি।

কারওয়ানবাজারে অবস্থিত বিডিবিএল ভবনে আইসিটি ইনকিউবেটরে কিছু কাজ হচ্ছে। জনতা টাওয়ার টেকনোলজি পার্কের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে নানামুখি সংশয় তৈরি হয়েছে। আইসিটি খাতে যে কাজ হচ্ছে, তা একেবারেই বেসরকারি উদ্যোগে।

ভারতে বহু আগেই বিভিন্ন বহুতল ভবনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করে সেগুলোকে আইটি ভিলেজ হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশেও এ ধরনের উদ্যোগ জরুরি।

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অর্জন তুলে ধরার সঙ্গে আগামীর স্বপ্ন বিনির্মাণের জন্য ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২’ আয়োজনে ইএটিএল প্যাভিলিয়ন নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। একমাত্র দেশি অ্যাপস স্টোর হিসেবে অংশ নিয়েছে ইএটিএল।

ব্যাংকগুলোর ব্যপারে এমএ মুবিন খান বাংলানিউজকে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আর আইটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় দরকার। আইসিটি খাতে একটু এগিয়ে এসে কিভাবে কিছু শর্ত শিথিল করে কাজ করা যায়। প্রযুক্তিমুখি ব্যাংকিং করতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।

কিন্ত সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। ব্যাংকগুলো আইটি খাতে ঋণবান্ধব নয়। নানা নিয়মের কথা বলে ব্যাংকগুলো পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। অন্যদিকে সরকার কিন্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারকে তাই সমন্বয় ও সমস্যার সমাধানে কাজ করতে হবে।

আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্বে অনলাইন:
দেশের আইটি খাত সময়ের সঙ্গে এগিয়ে গেছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট পিসির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার নিত্যদিনের প্রয়োজন হিসেবে গণ্য হচ্ছে। সবাই ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ রাখতে চাচ্ছে। ফলে আইটি সচেতন মানুষ প্রতি মুহুর্তেই আরও আগ্রহী হয়ে উঠছে।
বাংলানিউজসহ দেশের অনলাইন মিডিয়াগুলো ক্রমাগত জনপ্রিয় হচ্ছে। অনলাইন মিডিয়ার জনপ্রিয়তা প্রযুক্তি উন্নয়নের অন্যতম উদাহরণ। মানুষ এখন তথ্যসহ সব ধরনের সেবা অনলাইনে পেতেই আগ্রহী। তাই সব ধরনের প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সেবা দেওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তত করছে।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরেই কম্পিউটার থাকবে। হোক সেটা ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি বা স্মার্টফোন। তাই অনলাইনে যেকোনো সেবাই জনপ্রিয় হবে।

কাগুজে পত্রিকা,  রেডিও এবং টিভিগুলোও অনলাইনমুখি হচ্ছে। কারণ মানুষ অনলাইনে বিনা পয়সায় নিজের সুবিধামতো সংবাদ চায়। বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো অনলাইন সংস্কৃতি আর সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে উঠে আসবে।

অপার সম্ভাবনার মোবাইল ইন্টারনেট:
সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। মোবাইল ইন্টারনেটের কল্যাণে দেশে এখন নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। স্বল্প শিক্ষিত কিংবা শিক্ষার আলো পাননি এমন অনেকেই এখন স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করছেন মোবাইলভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।

ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রামগুলোও পিছিয়ে নেই। গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সুবিধা না থাকায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে গ্রামের মানুষ। মোবাইল ফোনের সব সিমকার্ডেই এখন ইন্টারনেট অপশন বিদ্যমান। দিন যত যাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ততই বাড়বে।

বিটিআরসির তথ্যমতে, বাংলাদেশে শতকরা ৯৭ ভাগ পরিবারে মানুষের কাছে মোবাইল আছে। মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগ মোবাইল ব্যবহার করছেন। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৭ ভাগ মানুষ। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ১১তম।

তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হলেও ৬০ ভাগ মানুষের কাছে মোবাইল আছে। এটা একটা দারুণ অগ্রগতি। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করবে। মোবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়বে জ্যামিতিক হারে। কোটি কোটি মানুষ অনলাইনে সব ধরনের সেবা পেতে চাইবে। তখন সরকার আর ব্যবসায়ী সবাই বাধ্য হবে অনলাইনে সব ধরনের সেবা দিতে। এটা সময়ের দাবি।

দেশি মোবাইল অ্যাপস:
বাংলাদেশের প্রযুক্তিবাজারে প্রথমবার বাংলা ভাষায় বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে দেশি মোবাইল অ্যাপস নির্মাতা ইএটিএল অ্যাপস। এটি একেবারে দেশীয় মোবাইল অ্যাপস স্টোর ‘ইএটিএল অ্যাপস’। ইএটিএল অ্যাপসের ওয়েবসাইট (eatlapps.com) থেকে আগ্রহীরা সহজেই এসব অ্যাপস ডাউনলোড এবং আপলোড করতে পারবেন।

এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১০ কোটি (প্রায়) মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। বিশ্বব্যাপী মোবাইলনির্ভর ইন্টারনেটের ব্যবহার ও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিদিন। মানুষ ঘরে বসে সব ধরনের সেবা চায়। হাতের মুঠোয় বাসের টিকেট, ডাক্তারের সিরিয়াল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সব‍াই পেতে চায়।

মুবিন খান জানান, ইএটিএল কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক যোগাযোগের ওপর বিভিন্ন অ্যাপস নির্মাণের উদ্দেশ্য নিয়েই চালু করেছে ‘অ্যাপস স্টোর’। অ্যানড্রইড ও জাভা প্রকৃতির মোবাইলের জন্য বেশ কিছু অ্যাপস তৈরি করেছে ইএটিএল।

ইন্টারনেট ও মোবাইল প্রযুক্তিতে বাংলা কনটেন্টের অপ্রতুলতা আছে। এ অপ্রতুল কনটেন্টের মান ও সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে ইএটিএল। ফ্রিল্যান্সার মোবাইল অ্যাপস নির্মাতাদের জন্য ইএটিএলঅ্যাপস ডটকম সাইটটি মার্কেট প্লেসের মতো কাজ করবে। এতে আগ্রহীরা তাদের তৈরি মোবাইল অ্যাপস এ সাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।

বিশ্বের অ্যাপস বাজারে প্রথম অ্যাপল মার্কেটে আনে অ্যাপসস্টোর। এরপরে আসে গুগল সার্চ ইঞ্জিন। এরপর ব্লাকবেরি, স্যামসাং এবং অন্যরা। এসব প্রতিষ্ঠান শুরুতে স্বল্প পরিসরে আসলেও এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। কিন্তু বাংলায় কোনো অ্যাপস স্টোর নেই।

দেশের প্রায় ৯৭ ভাগ মোবাইল ব্যবহারকারির সংখ্যার সুবিধা নিশ্চিত করতে ইএটিএলয়ের এ কার্যক্রম। নতুন এ সেবার মাধ্যমে দেশের মোবাইল ব্যবহারকারিরা সহজেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, গেমস, ই-কমার্স, রূপচর্চা ছাড়াও ১২ ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন। সেবা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আয়ের সুযোগ:
অ্যাপস স্টোরের মানোন্নয়নে মোবাইল অ্যপস প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তরুণ প্রজন্মকে আয়ের সুযোগ দিয়ে আইটি খাতে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এ প্রতিযোগিতায় দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তাদের আইডিয়া জমা দিতে পারবে।

সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতায় প্রথম বিজয়ীকে ৫ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ীকে ২ লাখ টাকা এবং তৃতীয় বিজয়ীকে ১ লাখ টাকা ছাড়াও প্রথম ১০ জনকে স্মার্টফোন পুরষ্কার প্রদান করা হবে।

এ প্রতিযোগিতা থেকে সম্ভবনাময় অ্যাপস নির্মাতাদের সরাসরি ইএটিএল অ্যাপসে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। সঙ্গে বিজয়ীর জন্য থাকছে রয়্যালিটি আয়ের সুযোগ। আইডিয়া উন্নয়নে আমরা সহায়তা করবো। এ সেবা থেকে আয়ের একটা অংশ আইডিয়া দাতাকে দেব। তরুণেরা সৃস্টিশীল কাজে টাকা পেলে তারা কাজে সময় ব্যয় করবে।

আইটি সেক্টরে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কলেজে গণজাগরণ তৈরি করতে কাজ করছি। শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের কিছু তৈরি করবে আশা করি। এটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা প্রতিবছর এ আয়োজন করবো। একটি লেভেলে রিজিওনাল সার্কভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ সময় ১২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।