ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শুল্কমুক্ত ইন্টারনেটের কথা বললেন তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৩
শুল্কমুক্ত ইন্টারনেটের কথা বললেন তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ইন্টারনেটের শুল্ক-কর শূন্যের কোঠায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, “সরকার এই সেক্টরে ১৫ শতাংশ শুল্ক-কর নেয় যার ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। সে জন্য ইন্টানেটে ভ্যাট মওকুফ করা উচিৎ।



সব ছেলে মেয়েরা যাতে ইন্টারনেট সহজভাবে ব্যবহার করতে পারে  সরকারকে সেই ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।

বুধবার সকাল ১০টায় নগরীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ (বিইউপি) আয়োজিত ‘ড্রাফ ন্যাশনাল টেলিকম পলিসি- রোডম্যাপ টু ওয়ার্ডস সাসটেনঅ্যাবল গ্রোথ অব ইকোনমি থ্রো টেলিকম অ্যান্ড আইসিটি’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

ইনু আরও বলেন, “খাদ্য , বস্ত্র ও বাসস্থানের মতো ইন্টারনেট ব্যবহারকেও মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে। ”

সে লক্ষ্যে তিনি অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকারীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আগামী বাজেটে ইন্টারনেটের ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে যাতে ইন্টারনেট সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। ”

ইনু বলেন, “ইন্টারনেটের ব্যবহার ধনীদের বৌঠকখানায় সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিলে সমাজে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। ”

তিনি আরও বলেন, “যাদের ১০০ টাকা আয় তারা যেন ৫টাকায় ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ”

তিনি বলেন, “ হ্যান্ডসেট মোবাইলের ওপর কর ১০০ টাকা করতে হবে। তাহলে দেশের সবাই তা ব্যবহার করতে পারবে এবং তাতে গ্রাম-গঞ্জে ইন্টারনেট ছড়িয়ে যাবে। ”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “২০ হাজার মাধ্যমিক স্কুল ও ৫০০ কলেজকে ইন্টারনেট তথ্য প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে তা না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। ”

সে লক্ষ্যে আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দেরও দাবি করেন তিনি।

ইনু বলেন, “বর্তমান পৃথিবী যে তথ্য প্রযুক্তিতে প্রবেশ করেছে  আমাদেরও এই বিপ্লবের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। ”

তিনি দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটকে বাংলায় রুপান্তরেরও দাবি জানান।

বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  এম এ জলিলের সভাপতিত্বে সভায়  বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খ‍ালীকুজ্জামান আহমদ, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু।
 
জাতীয় সংলাপে কি-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৩
এমআইএস/সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।