কাগজের ব্যবহার উঠিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসার লক্ষে সার্চ জায়ান্ট গত বছর চালু করে গুগল ক্লাস রুম নামের একটি অ্যাপ।
প্রাথমিকভাবে ডেস্কটপের জন্য তৈরি হলেও এ মুহূর্তে অ্যাপটি মোবাইলে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সত্যিই এটি দারুণ পরবির্তন নিয়ে এসেছে বলছে প্রযুক্তি অঙ্গনের লোকজন।
ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে সহজেই তা শিক্ষকদের কাছে পাঠাতে পারবে। অপরদিকে শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের কাজের উপর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে। এতে সময়ের ব্যবহার অনেকটা কমবে।
এছাড়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের কাজের গতি প্রবাহ থেকে কাগজের ব্যবহার বন্ধ করতে সক্ষম হবে অ্যাপটি।
অতি সম্প্রতি গুগল এই ক্লাসরুম মোবাইল অ্যাপ চালুর ঘোষণা দেয়। জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের হোম ওয়ার্ক, শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগে দুরুত্ব কমানো, মুহূর্তেই শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া, সহজ যোগাযোগসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে অ্যাপটির পরিকল্পনা করা হয়।
নতুন অ্যাপটি গুগলের অন্যান্য সেবা যেমন ড্রাইভে কাজ এমনকি অন্যান্য অ্যাপ থেকে কনটেন্ট শেয়ারে সমর্থন করবে।
বর্তমানে অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্লাটফর্মের জন্য উন্মুক্ত। আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে এটি ডাউনলোড করতে হবে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফরমেটের ফাইল অ্যাটাচ এবং মোবাইলে বিল্ট ইন ক্যামেরা দিয়ে তাদের অ্যাসাইমেন্টে ছবি যোগ করতে পারবে। এছাড়া আর্ট ক্লাসের জন্য ড্রয়িং, সামাজিক শিক্ষার জন্য ফ্যামেলি ট্রি এছাড়া বিজ্ঞান গবেষণার জন্য ডায়াগ্রাম এবং তার ফলাফল পাঠাতে পারবে।
এক ব্লগ পোষ্টে গুগলের এডুকেশন ক্লাসরুম টিমের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জর্জ লুগো উল্লেখ করেন অ্যাপটি প্রকাশের পর থেকে এ মাধ্যমে ৩০ মিলিয়নের বেশি অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি অ্যাপসটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশ করে গুগল। তথ্য মতে, ৪০ মিলিয়নের বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসক এটি ব্যবহার করে। প্রায় ৬ মাস আগে শিক্ষাব্যবস্থা সহজ করতে অ্যাপসটি নিয়ে কাজ করে গুগল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫