ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে

ঢাকা: আগামী ৯-১২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’।  

এবারের আয়োজনটিও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে আয়োজন করছে।



সোমবার (০২ ফেব্রুয়ারি) পিআইডি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তব্য রাখেন। আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫ আকর্ষণীয় ও অর্থবহ করতে আইসিটি খাতের আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ ডাকে সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯টি দেশের ৮১ জন বিদেশি বক্তা তাদের আগমন এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। তারা আমাদের কর্মশালা ও সেমিনারগুলোতে অংশগ্রহণ করে বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ার পাশাপশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের এগিয়ে যাওয়া, অর্জন ও সামগ্রিক কার্যক্রম স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করবেন। এতে করে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে আমরা আরো বড় পরিসরে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।

এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সফট এক্সপো, ই-গভর্ন্যান্স এক্সপো, মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো, ই-কমার্স এক্সপো ও বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট কনফারেন্স নিয়ে মোট ৫টি প্রদর্শনী, সেমিনার, কর্মশালা ছাড়াও আইটি জব ফেয়ার, সিইও নাইট এবং অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহযোগিতায় এ আয়োজনে অন্যদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)।

এগিয়ে এসেছে চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) ফোরাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি,  বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং টাই’র মতো প্রতিষ্ঠান।
 
সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানান বেসিস সভাপতি।

তিনি জানান, সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো প্রথমবারের মত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স সংযোজন করা হয়েছে। টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ প্লাটফর্ম, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা (আইটিইউ)’র সেক্রেটারি জেনারেল হাওলিন ঝাও মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় তার স্বপ্ন এবং ভাবনা বিনিময় করবেন।

এছাড়া মালদ্বীপ ও ভুটানের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীসহ সার্কভুক্ত কয়েকটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীরা এতে উপস্থিত থাকবেন।

এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সারাদেশের ৭টি বিভাগ থেকে ৭টি হাসপাতাল, ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭টি জেলা প্রশাসন, ৭টি উপজেলা প্রশাসন, ৭টি পুলিশস্টেশন, ৭টি পৌরসভাসহ একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সিটি কর্পোরেশন, পাবলিক সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে একটি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বমোট ৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ও সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য যথাক্রমে ৭টি বেস্ট ডিজিটাল হাসপাতাল, ৭টি বেস্ট ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭টি বেস্ট ডিজিটাল জেলা প্রশাসন, ৭টি বেস্ট ডিজিটাল উপজেলা প্রশাসন, ৭টি বেস্ট ডিজিটাল পুলিশ স্টেশন, ৭টি বেস্ট ডিজিটাল পৌরসভা, একটি বেস্ট ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, একটি বেস্ট ডিজিটাল সিটি কর্পোরেশন, পাবলিক সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থা থেকে ১টি বেস্ট সিটিজেন সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পুরস্কারের জন্য সিটিজেন সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ব্যতীত সব প্রতিষ্ঠানের মনোনয়ন দেবে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় বা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। সিটিজেন সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বেসিসের জুরি বোর্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।