ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আন্তর্জাতিক আলো-আলোক প্রযুক্তির বছর ২০১৫

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
আন্তর্জাতিক আলো-আলোক প্রযুক্তির বছর ২০১৫

২০১৫ সালকে আন্তর্জাতিক আলো এবং আলোক-প্রযুক্তির বছর হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত আলো-আলোক প্রযুক্তির বছর উদযাপনের লক্ষ্যে বিশ্বের ৮৫টির বেশি দেশে ১০০টির বেশি সংস্থা ইউনেস্কোর সঙ্গে কাজ করছে।



কীভাবে আলো এবং আলোক-প্রযুক্তি মানুষের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছে, জীবনকে সহজ করেছে তা নিয়ে সচেতনতা তৈরি পাশাপাশি আলো কীভাবে ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক মাত্রায় অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে বিশ্ববাসীকে অবগত করতেই জাতিসংঘ এই ঘোষণা দেয়।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) বাংলাদেশের মানুষকে বছরটি উদযাপনের জন্য নানান আয়োজনের সমন্বয়কের কাজ করছে।

এসপিএসবি ছাড়াও অন্যান্য সংগঠন বছরজুড়ে বেশ কিছু আয়োজন করবে। যার মধ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, নানা ধরনের প্রদর্শনী, ওয়ার্কশপ, ডকুমেন্টারি, এক্সজিবিশন, পাবলিক লেকচার, বিজ্ঞান ক্যাম্প, টেলিস্কোপে আকাশ দেখা সহ  বিভিন্ন কার্যক্রম।

এসপিএসবি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সবাইকে বছরটি পালনের আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন-এই বছরটা আলোর বছর। কী চমত্কার একটা ঘটনা—প্রতিটি মুহুর্তে যে আলোর প্লাবনে ডুবে থাকি, কিন্তু কখনো আলাদা করে যেটার কথা মনে করি না। পুরো একটা বছরকে সেই আলোর সম্মানে আলাদা করে দেওয়া হল।

এ বিষয়ে এসপিএসবি সমিতির একাডেমিক সমন্বয়কারি শিবলি বিন সরোয়ার জানান-২০১৫ সালকে আলোর বছর ঘোষণার পেছনে কিছু চমকপ্রদ ব্যাপারও কাজ করেছে। ১০১৫ সালে আল-হাজেন এর অপটিকস’র কাজ, ১৮১৫ সালে ফ্রেনেলের আলোকে তরঙ্গ হিসেবে প্রস্তাব, ১৮৬৫ সালে দেয়া ম্যাক্সওয়েলের বিখ্যাত আলোর তড়িৎচুম্বকীয় তত্ত্ব, ১৯০৫ সালে কোয়ান্টাম বিজ্ঞান ব্যবহার করে আইনস্টাইনের ফটোইলেকট্রিক ইফেক্টের ব্যাখ্যা প্রদান,  ১৯১৫ সালে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের প্রকাশ,  ১৯৬৫ সালে আরনো পেনজিয়াস এবং রবার্ট উইলসনের আবিষ্কৃত কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের তাপমাত্রা - যেটা বিগ ব্যাংকে নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করে ছেড়েছে, এবং একই বছরে স্যার চার্লস কাওয়ের ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশনে পাওয়া সাফল্য। এই সব কিছুরই মাইলস্টোনের কোন না কোন বার্ষিকী পড়েছে ২০১৫ সালে!

এরইমধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে “আলোর ঝিলিক” (Spark of Light) নামে আলোর বিভিন্ন পরীক্ষণের উপর কর্মশালা। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মশালায় হাতেকলমে দেখানো হয় আলো নিয়ে মজার সব পরীক্ষা।

পেরিস্কোপ, ক্যালিডাইস্কোপ, লেজার, অপটিক্যাল ফাইবার, নিউটনের রিং, বর্ণালী, প্রিজমসহ মজার সব উপকরণের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় আলোর বিভিন্ন ধর্ম এবং বৈশিষ্ট্য। সেইসাথে প্রতিটি পরীক্ষণের পেছনের বিজ্ঞানটাও ব্যাখ্যা করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আলোর ইতিহাস ও আগামী দিনের আলোর বিজ্ঞান নিয়ে পাবলিক লেকচার সিরিজ আলোর কথামালা শুরু হবে।

ঐদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবনের ফার্মেসী লেকচার থিয়েটারে আলোর গল্প  নামের কথামালার প্রথম আয়োজনে বক্তব্য রাখবেন ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিবিদ্যালয়, রিভারসাইডের ইনস্টিটিউট অব জিওফিজিক্স এন্ড প্ল্যানেটারি ফিজিক্সের গবেষক বিজ্ঞানী ড. দীপেন ভট্টাচার্য।

পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এমন আয়োজন করা হবে।

দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন যদি আলোর ঝিলিক বা আলো নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে আগ্রহী হয় তবে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সাথে যৌথভাবে কাজ করতে পারবে। আরো জানা যাবে প্রতিষ্ঠানটির এই www.spsb.org/iyl সাইটে।

বাংলাদেশ সময়:১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।