ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

১০ এপ্রিল থেকে ‘অ্যাপল ওয়াচ’র প্রি-অর্ডার শুরু

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫
১০ এপ্রিল থেকে ‘অ্যাপল ওয়াচ’র প্রি-অর্ডার শুরু

কয়েক মাস আগেই কোপার্টিনো প্রযুক্তি জায়ান্ট আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় অ্যাপল ওয়াচ’র। পরিধেয় এ পণ্যটি এখন বিপণনকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্ত্তত।

সানফ্রান্সিসকো’তে এক ইভেন্টে অ্যাপল প্রধান নির্বাহী টিম কুক পণ্যটির দাম, উন্মুক্তের দিনসহ বিস্তরিত জানায়। বিবৃতি অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল থেকে অ্যাপল ওয়াচ’র প্রি-অর্ডার নেয়া শুরু হবে। মডেলের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করায় গ্রাহকরা পছন্দ এবং ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পণ্যটি বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

আপাতত সার্বজনীন নয়, নির্দিষ্ট ৯টি দেশের বাজারে পণ্যটি বাজারজাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। যার মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, হঙকং, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। ২৪ এপ্রিল থেকে এসব দেশে বাজারজাত শুরু হবে। কিন্তু প্রতীক্ষায় থাকা অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি অ্যাপল।

তথ্য মতে, গ্যাজেটটিতে একাধিক পদ্ধতি যুক্ত থাকায় এটি গ্রাহক-স্বনির্ধারণযোগ্য। তাই দামটাও নির্ধারণ করা হয়েছে বেশ কৌশলের সাথে।   এর দুটি ডায়াল সাইজের একটির ৩৮ মিমি. এবং অন্যটির ওজন ৪২ মিমি.।

সুত্র মতে, গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী এই ওয়াচের মোট তিনটি ভার্সন দিচ্ছে অ্যাপল।

প্রথমটিকে বলা হচ্ছে ‘ওয়াচ’ যা মসৃণ স্টিলের অবয়বে কয়েকটি ধরণে আসছে। পরেরটি ‘ওয়াচ স্প্রট’, বিদ্যুত প্রতিরোধী অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি এ পণ্যটির রয়েছে চমকপ্রদ রঙিন ব্যান্ড। আর ‘ওয়াচ এডিশন’ যেটি জুয়েলারি ব্র্যান্ডগুলোর সাথে অ্যাপলকে টেক্কা দিতে সাহায্য করবে। কারণ এর অনত্যম বৈশিষ্ট্য ১৮ কেরেটের গোল্ড কেস এবং উন্নতমানের ব্যান্ডস।

মডেলভেদে এগুলোর দাম ৩৪৯ থেকে শুরু করে ১৭ হাজার ডলার হবে। ব্যয়বহুল ‘ওয়াচ এডিশন’ যার দাম কিনা একটি গাড়ির দামের সমান।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছে, পরিধেয় পণ্যের বাজারে স্মার্টওয়াচ নিয়ে শুধু অ্যাপলই এসছে এমন  নয়। তবে এটা বলা যেতে পারে এই সেগমেন্টে সর্বপ্রথম সফলতার আনন্দ উপভোগ করতে যাচ্ছে অ্যাপল। কারণ প্রতিদন্দীতার লক্ষ্যে এর প্রতিটি দিক খুব গুরুত্ব দিয়ে নকশা করা হয়েছে।

এটি ঠিক আইফোনের মতো সহকারী হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে ইনকামিং কল, টেক্সট এবং বিভিন্ন অ্যালার্ট জানা যায় এছাড়া বিল্ট-ইন মাইক বা স্পিকার থাকায় ব্যবহারকারী খুব সহজেই ‍উত্তর দিতে পারে। আছে হার্ট রেট সেন্সর, জিপিএস। ফিটনেস ব্যান্ড হিসেবেও এটি কার্যকর।

অনেকগুলো অ্যাপস যেমন ক্যালেন্ডার, ম্যাপস, ওয়েদার স্টপওয়াচ, সিরি এবং ফটো গ্যালারি আগেই ইন্সটল করা থাকছে। এছাড়া এতে বেশকিছু থার্ড পার্টি অ্যাপসও দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।