ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জুনের আগেই হাইস্কুল পর্যায়ে প্রোগামিং কনটেস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
জুনের আগেই হাইস্কুল পর্যায়ে প্রোগামিং কনটেস্ট ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখে চলতি বছরের জুনের আগেই প্রোগামিং কনটেস্টকে হাইস্কুল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই বলে মন্তব্য করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
 
শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে (বিসিসি ভবন) আয়োজিত এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


 
‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে (আইসিপিসি) অংশগ্রহণকারীদের সম্মননা প্রদান’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রোগামিং কনটেস্টকে হাইস্কুল পর্যায়ে নিয়ে যেতে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এজন্য দেশের প্রতিটি জেলা থেকে দু’জন পুরুষ ও একজন নারী শিক্ষক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের জেলা পর্যায়ে কর্মরত দু’জন সহকারী প্রোগামারসহ মোট ৫ জনকে নেওয়া হবে।
 
তিনি জানান, দেশের ৬৪ জেলার ৩২০ জনকে পাঁচ দিনের ট্রেনিং দেওয়া হবে। ট্রেনিং শেষে তারা দেশের প্রতিটি জেলার ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রোগামিং সম্পর্কে শিক্ষাদান করবেন। প্রশিক্ষণ শেষে দেশের ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট করা হবে।
 
এ সময় তিনি আরো জানান, আগামী দশ বছরের মধ্যে কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক তৈরি করা হবে। এর ফলে প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষর্থীরা বাংলাদেশেই কাজ করতে পারবে। তাদের আর বাংলাদেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নতির জন্য তথ্যপ্রযুক্তির বিকল্প নেই। কৃষি, শিল্প ও প্রযুক্তির বিপ্লবের মধ্য দিয়েই উন্নতির শিখরে পৌঁছায় একটি দেশ। আমরাও সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ কোটি তরুণ প্রজন্ম রয়েছে। একটি দেশে এতো তরুণ বিশ্বের অন্যকোনো দেশ নেই। আর এ তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলেই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে দেশের জন্য ভালোবাসা জাগিয়ে রাখতে হবে। দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি আর কাজের প্রতি  উৎসাহ দিলেই তারা এগিয়ে যেতে পারবে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় প্রোগামিং আয়োজনের নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগামিং কনটেস্ট’ (আইসিপিসি)। অনুষ্ঠানে ১৯৯৮ সাল থেকে আইসিপিসি ও আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষস্থান অর্জনকারী বিভিন্ন দলের ৭১ জনকে সম্মননা প্রদান করা হয়।
 
এছাড়াও এবারের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে প্রণোদনা প্রদান করা হয় এবং প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সবেচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স’-এ অংশগ্রহণকারীদের তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রাউন্ড-ট্রিপে প্লেন ভাড়াসহ দৈনন্দিন খরচে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
 
বাংলাদেশ ১৯৯৮ সাল থেকে আইসিপিসির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিয়মিত অংশগ্রহণ করলেও, এবারই প্রথম সরকারি উদ্যোগে  এ ধরনের সম্মননা, প্রণোদনা ও অনুদান প্রদান করা হল।
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লুৎফা হোসেন ডালিয়া, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০,২০১৫
এলকে/জেডএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।