ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রযুক্তি মেলায় প্রত্যাশিত পণ্যে ছাড়

আবু তালহা, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
প্রযুক্তি মেলায় প্রত্যাশিত পণ্যে ছাড় ছবি: জি এম মুজিবুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে: যেকোনো প্রযুক্তি মেলা বা প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হলো পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবার সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। কেবল রাজধানীতেই নয়, বিভাগীয় ও জেলা শহরসহ সারাদেশে এমন প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা দরকার।



সোমবার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৫’ আসা দর্শনার্থী মাহবুবুর রহমান এমন মন্তব্য করেন।

বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও সম্ভাবনার প্রতিচিত্র তুলে ধরা। এই প্রয়াস কেবল রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ থাকলে মেলার উদ্দেশ্য কতটুকু সার্থক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
 
জেলা শহরে এ ধরনের মেলার আয়োজন করা হলে তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলেও মনে করেন মাহবুব।

রাজধানীর তেজগাঁও থেকে মেলায় এসেছেন শরিফুল ইসলাম।

সম্প্রতি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা এ তরুণ বলেন, এ ধরনের মেলার আয়োজন খুবই ভালো উদ্যোগ। দোকানেও এসব পণ্য পাওয়া যায়, কিন্তু মেলায় আসার উদ্দেশ্য হলো ভালোমানের পণ্য ছাড়ে পাওয়া।

জহির উদ্দিন নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, কী কী নতুন পণ্য এসেছে তা দেখতে মেলায় এসেছি। কিন্তু মেলায় যা দেখলাম এসব দোকানেও পাওয়া যায়।

‘উন্নত দেশের বাজারগুলোতে যেসব প্রযুক্তি দেখা যায়, আমাদের প্রযুক্তি মেলাতে সেসব কখনই পাই না,’ বলেন তিনি।

৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের বেশি জায়গা নিয়ে আয়োজিত এক্সপোতে রয়েছে-৩৫টি প্যাভিলিয়ন, ১শ’ টির বেশি স্টল, ২শ’ টির বেশি দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী, সেলফি ও  চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবার সিকিউরিটি, মেগা সেলস, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং বিজনেস মিটআপ।

প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য মোট ১০টির বেশি সেমিনারের আয়েঅজন করা হয়েছে। এসব সেমিনারে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিবিদরা ‍উপস্থিত থাকবেন।

মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীরা পাবেন ‘মিল্কি ওয়ে’। এখানে ডেল, এইচপি, মাইক্রোল্যাব ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য স্পন্সরদের প্যাভিলিয়ন।

বেসিস, টেলিটকসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের স্টল ছাড়াও আছে ফ্লোরা লিমিটেড, কম্পিউটার সোর্স, স্মার্ট টেকনোলজিস, গ্লোবাল ব্র্যান্ড, ওয়াল্টন প্লাজাসহ ২৫টির বেশি প্যাভিলিয়ন।

একটু সামনে এগিয়ে বাম দিকে রয়েছে সিম্ফোনি মোবাইলের কার্নিভ্যাল। অনলাইন মার্কেট প্লেস এখনই ডটকম, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড, বিজয় ডিজিটাল, কম্পিউটার ভিলেজসহ প্রায় ৩০টি স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক, সাউন্ড সিস্টেম, পেনড্রাইভ, ডাটা কেবল।

বিভিন্ন তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি যেকোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা।

কার্নিভ্যাল-এর পাশেই রয়েছে ‘হারমোনি’। এখানে র‌্যাংস ইলেক্টনিক্স, হুয়াই টেকনোলজি বাংলাদেশসহ আছে পাঁচটি প্যাভিলিয়ন।

এছাড়া ডিবি টেকনোলজি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), সাউথ বাংলা কম্পিউটারসহ ১৫টির বেশি স্টল রয়েছে।

হারমোনি থেকে পণ্য কিনলে ছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।
 
মেলা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় তলায় নবীনদের জন্য রয়েছে ‘ইনোভেশন জোন’। নানা উদ্ভাবন প্রদর্শনের পাশাপাশি গেইমিং প্রতিযোগিতা, রোবট শো, সেলব্রেটি শো প্রদর্শিত হবে এই জোনে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি ড্যাফোডিল, ইস্টার্ন ও  ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এই জোনে তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে।

শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। আগামী ১৬ জুন বিকেল ৪টায় বয়স ভিত্তিক দুই বিভাগে ‘তোমার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের ডিভাইস’ বিষয়ক এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে দুপুরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিন দিনব্যাপী এ প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন।

এরপর দুপুর ২টায় সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মেলা গেট। উন্মুক্ত করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন প্রযুক্তি প্রেমী মানুষ।
 
দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি মেলা ‘বাংলাদেশে আইসিটি এক্সপো-২০১৫’ আগামী বুধবার ১৭ জুন পর্যন্ত চলবে।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে।  

আয়োজক সহযোগী হিসেবে আছে- বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বেসিস, সিটিও ফোরাম এবং আইএসপিএবি।

মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে ডেল ও এইচপি, গোল্ড স্পন্সর কনিকা মিনোল্টা এবং মাইক্রোল্যাব।

আর সিলভার স্পন্সর হিসেবে প্রোলিংক ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড অংশ নিয়েছে।

মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলা, রেডিও টুডে এবং দৈনিক সমকাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
জেডএস/একেএ/এটি/এমএইচপি/একে/এমএ

** ৫ হাজার টাকায় আইফোন ৬!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।