ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নজরদারিতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নজরদারিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ ও ভাইবার যারা বিকল্প পথে ব্যবহার করছেন, তারা সরকারের নজরদারিতে রয়েছেন। সীমিত ব্যবহারকারী বলে তাদের ওপর নজর রাখা সরকারের জন্য সহজ হচ্ছে।



শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মোবাইল ডিভাইসেস অ্যান্ড ইটস রোল ইন ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ বিষয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি)। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

তিনি বলেন, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খোলা হবে কবে- এমন প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ বিকল্প পথে এসব ব্যবহার করছে জানিয়ে অন্যদের ভোগান্তিতে ফেলার কারণও জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিরাপত্তার খাতিরে সাময়িকভাবে মাধ্যমগুলো বন্ধ।

‘কিন্ত যারা বিকল্প পথে এসব ব্যবহার করছেন, সেটি তারা নিরাপদভাবে ব্যবহার করছেন না। সীমিত ব্যবহারকারী বলে আমাদের মনিটরিং করা সহজ হচ্ছে। এছাড়া নেটওয়ার্ক স্লো পাচ্ছেন তারা। ধীরগতির নেটওয়ার্কের কারণে অপরাধীরা নেটওয়ার্ক গড়ার সুবিধা পাচ্ছে না’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তারানা হালিম আরও বলেন, প্যারিসেও বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যম। কিন্তু তারা উষ্মা প্রকাশ করছে না। বড় কোনো বিপদ ঘটে যাওয়ার পরে বন্ধ করে কী হবে? আগে থেকেই একটু প্রস্তুতি রাখা ভালো। দেশের স্বার্থে তরুণ শিক্ষার্থীরা আশা করি এ অসুবিধাটি মেনে নেবেন।

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যম কবে খোলা হবে- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনস্বার্থ ও জননিরাপত্তার স্বার্থে যতদিন বন্ধ থাকা প্রয়োজন, ততদিন বন্ধ থাকবে এসব মাধ্যম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন বলবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেছে, তখন এসব যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে।

বৈঠকে আরও অংশ নেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, কাস্টমস ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনর ডিরেস্টর জেনারেল ড. মঈনুল খান, র‌্যাবের কমিউনিকেশন উইং পরিচালক কমান্ডার শাহেদ করিম, লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান, ইনভিকোর সিইও ফাওয়াদ গোরায়ের, বিটিআরসির স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোল্লা মো. জুবায়ের, র‌্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এসকেএস/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।