ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে চুক্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে চুক্তি

ঢাকা: ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ’র সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
 
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসএসএফ ব্রিফিং রুমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির।


 
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাইক্রোসফট জানায়, চুক্তির আওতায় দেশব্যাপী ৫ হাজার ২৭৩টি ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ডিজিটাল সেন্টারগুলো সরাসরি সার্ভিস সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেবা প্রদান করতে পারবে।
 
প্রযুক্তি বিষয়ক এই ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা ডিজিটাল সেন্টারের যাবতীয় কাজে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে নাগরিকদের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।
 
কবির বিন আনোয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নারী এবং পুরুষ উদ্যোক্তার অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা থাকার কারণে গ্রামাঞ্চলে নারীদের সেবাপ্রদানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল সেন্টারের নারীদেরকে নিয়ে মাইক্রোসফটের এ প্রশিক্ষণ তাদেরকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
 
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সই নিয়ে উচ্ছ্বসিত সোনিয়া বশির কবির বলেন, আমরা বিশ্বাস করি নারীরা আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত একটি আগ্রহ। চুক্তির মাধ্যমে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ দেশের ডিজিটাল সেন্টারের ৫ হাজার ২০০ জনের বেশি নারীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে। আমরা বাংলাদেশের নারীদের প্রযুক্তিতে যুক্ত করার ব্যাপারে অনেক বেশি আশাবাদী। আর তাই সে অনুযায়ী এই খাতে নারীদের চাকরি করার যোগ্যতা অর্জনের পাশপাশি পেশাগত জীবনে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
 
ডিজিটাল সেন্টার হলো ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডে স্থাপিত তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সেবা সমৃদ্ধ একটি আধুনিক কেন্দ্র। এসব ডিজিটাল সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি ৬০ লাখ সেবা প্রদান করা হয়েছে।
  
ইতিমধ্যে ১১টি সিটি কর্পোরেশনের ৪০০ জন এবং ১৫টি জেলা থেকে ১ হাজার ৫০০ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মাইক্রোসফট। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এ-গ্রেড প্রাপ্ত নারীরা সরাসরি কল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন।  
 
গত বছরের মার্চে ‘উইন্ডোজ উইমেন’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ নেয় মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। ‘উইন্ডোজ উইমেন’র আওতায় কয়েকজন মাইক্রোসফট ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ।
 
এছাড়া ৬৪টি জেলার প্রতিটি থেকে সরকারি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, ৩৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থী, ‘ইয়ং বাংলা’ প্রকল্প থেকে বেশ কয়েকজন নারী উদ্যোক্তা এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশন ও ১৫টি জেলার আরো ১ হাজার ৯০০ জন নারীকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
 
‘উইন্ডোজ উইমেন’ শীর্ষক উদ্যোগের আওতায় মাইক্রোসফট উইন্ডোজের উপর বিশেষ করে উইন্ডোজ টেন ও অফিস ৩৬৫-এর উপর ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত নারীরা সবাই মাইক্রোসফট ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করার সুযোগ পান। জেনুইন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুফল সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে মাইক্রোসফট ফাইট পাইরেসি প্রোগ্রামকে সহায়তা করেছেন মাইক্রোসফট ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডররা।
 
মাইক্রোসফটের সাউথ-ইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মিশেল সিমন্স এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।