ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সমীক্ষা প্রতিবেদন ও গণশুনানির ওপর রবি-এয়ারটেলের সিদ্ধান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
সমীক্ষা প্রতিবেদন ও গণশুনানির ওপর রবি-এয়ারটেলের সিদ্ধান্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম

ঢাকা: সমীক্ষা প্রতিবেদন ও গণগুনানির ওপর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে টেলিকম বিটের প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন।


 
রবি-এয়ারটেলের ব্যবসা একীভূত করতে গত ২৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর রবি আজিয়াটা লিমিটেড জানিয়েছে একীভূত কোম্পানি রবি নামেই ব্যবসা পরিচালনা করবে।
 
বেসরকারি দুটি অপারেটর একীভূত হওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তিটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। মার্জার (একীভূত) হওয়ার বিষয়ে তারা অনুমোদন চেয়েছে। অভ্যন্তরীণ চুক্তির বিষয়ে অনুমোদনের দরকার নেই।  
 
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ চুক্তির ভিত্তিতে একশ’ ভাগ বলতে পারবো না যে মার্জার হচ্ছে, আবার একশ’ ভাগ বলতেও পারব না যে মার্জার হবে না।
 
নীতিগতভাবে আমরা এই মার্জারের পক্ষে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি নির্ভর করবে গণশুনানি এবং মার্কেট সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী বাজারে এর প্রভাব ইতিবাচক না নেতিবাচক সেই বিষয়টা সম্পূর্ণ যাচাই করার পরে আমরা এবং বিটিআরসি নিশ্চিতভাবে বলবো এই মার্জার সম্ভব কি সম্ভব না।
 
‘বিটিআরসির গণশুনানি ও আউট সোর্সিংয়ের রিপোর্ট প্রদানের পর তারা (রবি-এয়ারটেল) আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের অনাপত্তি নিয়ে এসে সম্পূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে একীভূত হবে। ’
 
রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসিতে অপর চার অপারেটর ইতিবাচক মত দেয়।
 
একীভূতকরণ নিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার প্রভাব বিশ্লেষণে বাজার সমীক্ষারও উদ্যেগ নিয়েছে বিটিআরসি।
 
এক হওয়া নিয়ে রবি-এয়ারটেলের চুক্তি সম্পাদনের ফলে শেয়ার মূলধনের পুনর্বিন্যাস করা হবে। এতে আজিয়াটা ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ ও ভারতী ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করবে। বাকি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বর্তমানের অপর শেয়ারহোল্ডার জাপানের এনটিটি ডকোমোর কাছে থাকবে।
 
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে চুক্তির পর চুক্তির কার্যকারিতা বিটিআরসি, সরকার এবং আদালতের অনুমোদন পাওয়ার ওপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করে এর আগে দুই অপারেটরের যৌথ ঘোষণায় জানায়, এই প্রক্রিয়া আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
 
দুই কোম্পানি এক হলে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় চার কোটি, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। বর্তমানে পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন সবার শীর্ষে রয়েছে।
 
বিটিআরসি’র হিসাবে ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৩৭ লাখ। এ সময়ে অপারেটর রবির গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৮৩ লাখ এবং এয়ারটেলের এক কোটি ৭১ হাজার।
 
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করার সম্ভাবনার বিষয়ে গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর দুই কোম্পানি আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেয়।
 
রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। অন্যদিকে এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতি এয়ারটেল; এর আগে তারা ওয়ারিদের ব্যবসা বাংলাদেশে কিনে নিয়েছিল।
 
এশিয়ার বড় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোর মধ্যে আজিয়াটা অন্যতম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পাশাপাশি কম্বোডিয়া, ভারত ও সিঙ্গাপুরেও তাদের ব্যবসা রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।