ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

২২ এপ্রিল থেকে ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
২২ এপ্রিল থেকে ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ ছবি: শাকিল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৬’।

বিশ্বের শতাধিক নগরীর মতো বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা আগামী ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান এ তথ্য জানান।
 
শামীম আহসান বলেন, একজন উদ্ভাবকের মধ্যে প্রযুক্তির বীজ বুনে দিতে এ আয়োজন। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সমস্যা সমাধানে নতুন আইডিয়া বেরিয়ে আসবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা আমেরিকায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

তিনি বলেন, নাসার মতো একটি বড় প্রতিষ্ঠানে বিশ্বের সব দেশের প্রতিযোগিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশের সুনাম বয়ে আনবে অংশগ্রহণকারীরা। এর মাধ্যমে নাসাসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়বে। একদিন বাংলাদেশিরাও মঙ্গলগ্রহ, চাঁদসহ মহাকাশে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সেসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবে।
 
প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, ২০১৫ সালে প্রতিযোগিদের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল দ্বিতীয়। এবার আমরা প্রথম হওয়ার চেষ্টা করবো। নাসার নির্দেশনা অনুযায়ী এবার বিমান চালনা বিদ্যা, স্পেস স্টেশন, সোলার সিস্টেম, তথ্যপ্রযুক্তি, আর্থ ও মঙ্গলগ্রহে যাওয়া এ ছয়টি বিষয়ে সমস্যা সমাধানে অ্যাপস প্রতিযোগিতা হবে।
 
তিনটি বিভাগে বড় পরিসরে বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। সেখানে প্রতিযোগিদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি নাসা ভার্চুয়াল ও ফিজিক্যাল দু’ভাবে তথ্য দিয়ে তাদের সহযোগিতা করবে হবে বলে জানান তিনি।
 
তিনি আরো বলেন, তিনটি বিভাগ থেকে দু’জন করে মোট ছয়জন নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত সব অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র দেওয়া হবে।

এছাড়াও প্রতিযোগিতাটিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ৬৪ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ প্রায় ১’শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেমিনারের আয়োজন করবে বলে জানান তিনি।
 
তিনি আরো বলেন, নাসার প্রতিনিধি দেশের শীর্ষস্থানীয় মেন্টরদের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মেন্টরিংসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। এবার প্রায় ৫’শ আইডিয়া বের হয়ে আসবে।

প্রতিযোগিতায় যে কেউ বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে অংশ নিতে পারবে। প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে অংশ নিতে আগামী ২০ মার্চের মধ্যে http://studentsforum.basis.org.bd এই লিংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

প্রতিযোগিতায় বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ও ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের সহযোগিতা করছে। পৃষ্টপোষকতা করছে বাগডুম.কম ও পিবাজার.কম। অ্যাকাডেমিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।
 
নাসার প্রতিনিধি আফরোজ আল মামুন বলেন, একটি অ্যাপস বিশ্বকে বদলে দিতে পারে। বাংলাদেশে যথেষ্ট মেধাবী রয়েছে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারা প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে আইডিয়া বের হয়ে আসবে এবং আমরা চেষ্টা করবো সেগুলো নাসার অন্য ক্ষেত্রেও কাজে লাগানোর। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে লিংক করে দেওয়ার।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি তারেক বরকত উল্লা, আইইউবি’র প্রতিনিধি এম আশরাফুল আমিন প্রমুখ ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
আরইউ/আরএইচএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।