ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সিটিসেলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৬
সিটিসেলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে সরকার     ছবি- মিথ‍ুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল চালু থাকা বা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকার নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বুধবার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ একথা জানান।

তিনি বলেন, সিটিসেলের একটি প্রতিনিধি দল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে, আলোচনার সার-সংক্ষেপ সরকারকে জানাবো। তারপর সরকার যা সিদ্ধান্ত নেয়। আলোচনার ফলাফল সরকার নির্ধারণ করবে।

পৌনে পাঁচশ’ কোটি টাকা পাওনা থাকায় সিটিসেলের গ্রাহকদের আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বিটিআরসি।

গত ৩১ জুলাই সিটিসেল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা রাজস্ব বকেয়া বাকি এবং পরিশোধে গড়িমসি করায় যেকোনো সময় বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে অপারেটরটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

**বন্ধ হচ্ছে সিটিসেল, গ্রাহকদের বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ

অন্য অপারেটরের কাছে বকেয়া থাকলেও সিটিসেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হবে কিনা- জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সব অপারেটরকে সমানভাবে দেখার চেষ্টা করি। তারপরও সিদ্ধান্ত সরকারের। সিটিসেলের ব্যাপারে যেভাবে করেছি অন্য অপারেটরের বিরুদ্ধেও একই সুপারিশ দিয়েছি।

বিটিআরসি’র সবশেষ জুন মাসের হিসেবে দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার; যার মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহক দেখানো হয় ৭ লাখ ২ হাজার।

তবে সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, সিম-রিম রেজিস্ট্রেশনের পর সিটিসেলের গ্রাহক আরও কমে এসেছে। এখন দেড় থেকে দুই লাখ।

‘সিটিসেলের একটা সংকট চলছে, আমরা গ্রাহকদের জানিয়েছি যাতে তাদের কোনো অসুবিধা না হয়, বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কোন গ্রাহক কোন অপারেটরের কাছে যাবে সেটা তার উপর নির্ভর করছে। ’

অপর প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, সিটিসেলের ঘটনা দুঃখজনক। অনেক গ্রাহক হয়তো চলে যাবেন বা থেকে যাবেন। বড় ঘটনায় তো কিছু ফল আউট হবেই। গ্রাহকদের অনেক অসুবিধা হবে। আমরা গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এটার ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই, সরকারের যে নির্দেশনা আসে আমাদের সে অনুযায়ী কাজ করতে হয়।

একই নম্বরে অন্য অপারেটরের সেবা বা এমএনপি প্রক্রিয়ার মধ্যে সিটিসেল বন্ধ করার উদ্যোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, এমএনপির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনেক কারণও ছিল। আমরা গ্রাহকদের কথা চিন্তা করেছি।

এসময় বিটিআরসি কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) জহুরুল হক বলেন, আইনত আমরা ১ তারিখেই (আগস্ট) সিটিসেল বন্ধ করে দিতে পারতাম। গ্রাহকের স্বার্থে সময় দেওয়া হয়েছে।

বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, সচিব সরওয়ার আলম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৬/আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।