ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দ. এশিয়ার মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালুর আহ্বান    

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
দ. এশিয়ার মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালুর আহ্বান      ছবি- দিপু মালাকার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালুর আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
 
ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার জোট ‘দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা’র (এসএটিআরসি) ১৭তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।


 
মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএটিআরসি’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এ সেবা চালুর আহ্বান জানান।
 
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটির বেশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং প্রতিমাসে ৭-৮ শতাংশ লেনদেন বাড়ছে।
 
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ শিল্পের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে পাঁচটি অপারেটর থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। ৩০-৩৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, যেখানে ৫ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। ২০১৮ সালে ৪৫ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ইন্টারনেটের ব্যবহার ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।
 
ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিকম খাত ব্যবহার করে ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে যেতে চায়। টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে মোট জিডিপি বাড়বে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
 
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মানুষ যেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে তাদের বৈশ্বিক মানের জীবনমান উন্নয়ন করতে পারেন, সে বিষয়ে এ ফোরাম ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন আইনমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশে মোবাইল পেনিট্রেশন বেশি হলেও উন্নত দেশগুলো থেকে কম উল্লেখ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এর কারণ আমাদের ভয়েস কলের ওপর নির্ভরতা বেশি। উন্নত দেশগুলোর সমকক্ষ হতে হলে টেলিকমের সঠিক ব্যবহার এবং এ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে।
 
তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাইবার সিকিউরিটির বিষয়েও এ ফোরাম থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
 
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সরকারের লক্ষ্য প্রত্যেক জনগণকে কানেকটিভিটির আওতায় নিয়ে আসা। ইন্টারনেটের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা ফোরজি চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
 
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিমের সফল নিবন্ধন সম্পন্ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি’র (এমএনপি) কথা তুলে ধরেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
 
এসএটিআরসি’র বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান আর এস শর্মার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এপিটিএ’র মহাসচিব এরিওয়ান হাওরাংসি, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিটিআরসি এবং এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটিএ) সম্মেলনের আয়োজন করছে।  
 
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দেশগুলোর টেলযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের প্রায় একশ’ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
 
আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান সম্মেলনে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
 
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে মোট ১১টি সেশন ও মূল্যায়ন বিষয়ক গোলটেবিলে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ, গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তি, তরঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, ইন্টারনেট অব থিংস, পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা নিয়ে আলোচনা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।