যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিষয়টি প্রথম আলোচনায় এসেছিল।
সে সময় বর্তমানের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিমদের জন্য আলাদা ডাটাবেজ করা হবে।
কিন্তু গত সপ্তাহের মঙ্গলবার টেক জায়ান্টদের নিয়ে ট্রাম্পের নিজ উদ্যোগে আয়োজি সামিটে ট্রাম্প বিষয়টি বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আর তাতে শুধু আশাহত হতে হয়েছে তাকে। কারণ মুসলিমদের নিবন্ধন করার এ কাজে একেবারেই উৎসাহ দেখাননি কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
সামিটের পরপরই গুগল, অ্যাপেল এবং উবার ঘটা করে জানিয়ে দিয়েছে, মুসলিম নিবন্ধনের মত এমন একপেশে কাজে কোনভাবেই সহযোগিতা করার ইচ্ছা নেই তাদের। তাই বৈষম্যমুলক এমন কাজে অংশগ্রহন থাকছে না প্রযুক্তি জায়ান্টদের।
এদিকে একই বিষয় নিয়ে কয়েক দিন আগে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ফেসবুক, মাইক্রোসফট এবং টুইটার। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিমদের নিবন্ধন করানোর একপেশে এবং বৈষম্যমুলক সিদ্ধান্তে এই মুহূর্তে কোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে পাশে পাচ্ছেন না ট্রাম্প।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ট্রাম্পের প্রস্তাবের পর গুগলের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘অবশ্যই আমরা এমন কাজে অংশগ্রহন করবো না’। অ্যাপলের ছিল, ‘আমরা মনে করি সব মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখা উচিত। কে পূজা করে, কার গায়ের রং কি আর কে কাকে ভালোবাসে, এই ভিত্তিকে কাউকে আলাদা করা উচিত নয়’। আর উবারের উত্তর ছিল খুবই ছোট, এক কথায় ‘না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
এমএডি/এসজেডএম