তিনি বলেছেন, বর্তমানে যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ছাড়াও সারাদেশে ২৮টি আইটি পার্ক এবং সাতটি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণের কাজ চলছে। মূলত আইসিটি খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, যশোরে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ একর ১৩ শতাংশ জমির ওপর আন্তর্জাতিক মানের ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের’ কাজ শেষ পর্যায়ে। আড়াই বছর আগে পাইলিংয়ের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হওয়া প্রকল্পটি আগামী ৩০ মে’র মধ্যে পুরোপুরি শেষ হবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, এই টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের সময় চেয়ে আগামী ৩০ মে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠাবো।
পার্কের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে এই সফটওয়্যার পার্কে তিনটি জাপানি কোম্পানিসহ ১৩টি কোম্পানিকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জায়গা বরাদ্দের জন্য ২৪টি দেশি-বিদেশি কোম্পানির আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে।
কাজ শুরু হলে আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক জাতীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিক আইটি ডেস্টিনেশন হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়াও সারাদেশে নির্মাণাধীন আইটি পার্কগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে দেশের ৯ কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। এতে নিম্ন মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে উন্নত হবে।
অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের পরিচালক (ইনোভেশন) মোস্তাফিজুর রহমান, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক শেখ জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পুলিশ সুপার আবু নাঈম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
আইএ