শহরগুলোতে টেকসই, নিরাপদ এবং উপযুক্ত শক্তির ব্যবহারযোগ্য স্মার্ট ভবন নির্মাণে ‘ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)’ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে হানিওয়েল ও হুয়াওয়ে।
যেহেতু এশিয়ায় দ্রুতগতিতে শহর গড়ে উঠছে।
এছাড়া বিশ্বব্যাপী শহুরে অবকাঠামোগত ভবন নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশাল পরিসরে স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য প্রতিষ্ঠান দুটির।
চীনের সেনঝেনে সম্প্রতি ‘লঙ্গেং স্মার্ট সিটি’নামের একটি প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করছে হানিওয়েল ও হুয়াওয়ে। এ প্রকল্পে বিল্ডিং অটোমেশন সিস্টেম, নিরাপত্তা এবং আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা ও পরিচালনা করছে হানিওয়েল।
এছাড়া কানেক্টেড বিল্ডিং সল্যুশন, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট ড্যাশবোর্ড, অ্যালার্ম সিস্টেম, ওয়ার্ক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট এবং কুইক রেসপন্স ও প্রিভেন্টিভ মেইন্টেন্যান্স সিস্টেম সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে প্রকল্পটিতে আইসিটি অবকাঠামো যেমন-ডাটা সেন্টার, সিকিউরিটি প্রটেকশন অ্যান্ড মনিটরিং, আইওটি গেটওয়ে এবং ক্লাউড সেবা দিচ্ছে হুয়াওয়ে।
এছাড়া গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করার লক্ষ্যে ইতালির মেটাসিস্টেম-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে গিয়েছে হুয়াওয়ে। মেটাসিস্টেম-এর কানেক্টেড কার ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশন প্রতিস্থাপনের জন্য ওশেনকানেক্টেড আইওটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের মাধ্যমে ইউবিআই সল্যুশন দেবে হুয়াওয়ে।
হাইব্রিড ক্লাউড ব্যাকআপ সল্যুশন দেওয়ার লক্ষ্যে কমভল্ট-এর সঙ্গেও একটি চুক্তি করেছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কমভল্ট সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সহ হুয়াওয়ে পাবলিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবে।
স্মার্টসিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে একীভূত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, ডাটা ব্যাকআপ বা তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সল্যুশন ব্যাপক হারে গ্রাহকের খরচ কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী অন-ডিমান্ড স্টোরেজ সুবিধা দেওয়া হবে যাতে প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতে কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এসজেডএম