সোমবার (১০ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাত থেকে নগরীর সড়কগুলোর বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলে থাকা এসব স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট ক্যাবলের ফাইবার অপটিক লাইন অপসারণ করে সিসিক। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবীবসহ সিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর জিন্দাবাজারসহ প্রধান প্রধান সড়কগুলোর বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে অবৈধভাবে ঝুলে থাকা স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেটের ক্যাবলগুলো অপসারণের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে। তবে সরিয়ে না নেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ফাইবার অপটিক লাইনগুলো।
অবৈধ ক্যাবল অপসারণের ফলে জিন্দাবাজারসহ আশপাশের এলাকার স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেট সংযোগ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিসিক কর্মকর্তারা।
ইডি ট্রান্সমিট নামক স্যাটেলাইট কোম্পানির লাইনম্যান জহির আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ফাইবার অপটিক লাইনগুলো কেটে ফেলার কারণে মানুষ টেলিভিশন দেখতে না পেরে বিনোদন বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটেছে। বন্ধ রয়েছে ব্যাংকের বুথ। ইন্টারনেট সংযোগ না পেয়ে সেবা গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তাদের কাছে বার বার ফোন আসছে। সিসিক সূত্র জানায়, অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেটের ক্যাবলগুলো তার টানিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অথচ তারের জঞ্জালে সৌন্দর্যহানি ঘটেছে নগরীর। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তারগুলো। কোনটি বিদ্যুৎ লাইন আর কোনটি ফাইবার অপটিক লাইন বোঝা মুশকিল। ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাইন মেরামত করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে।
এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ক্যাবল অপসারণে নগরীর স্যাটেলাইট সেবা প্রদানকারী ক্যাবল অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার বার নোটিশ দেওয়া হয়। গত মাসে চূড়ান্ত নোটিশ দিলেও তারা লাইনগুলো অপসারণ করেনি। বরং ডেড লাইনগুলো রেখে আরো তার টেনেছে। এসব লাইন একটি পাইপের ভেতর দিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা করছে না কোম্পানিগুলো। এসব তারের জঞ্জালে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তা সামাল দিতে হয় সিসিককে। তবে ইন্টারনেট সেবা আজকের মধ্যেই সচল করে দেওয়া হবে বলেন তিনি।
এদিকে, বেলা ১টার দিকে সিসিক কার্যালয়ে যান স্যাটেলাইট কোম্পানি এসসিএস এর মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা বিষয়টি সমাধানে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট ক্যাবল সিস্টেমস (এসসিএস) এর ব্যবস্থাপক হারুন আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এনইউ/জেডএস