বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ভবনে দুই দিনব্যাপী এ সভা শেষ হয় বুধবার (১৯ এপ্রিল)।
সভায় দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কাউন্সিলের পলিসি, রেগুলেশন ও সেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিটিআরসি।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশ- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান এবং ইরানের প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সার্ক অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ বিষয়ক নীতিনির্ধারণী এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের উদ্বোধন করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এ সভায় এসএটিআরসি-এর কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
‘এ অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ভাগাভাগিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, মেশিন টু মেশিন (এমটুএম) যোগাযোগ ও ইন্টারনেট অব থিংকস বিষয়ে আইসিটি রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক, ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ বৃদ্ধি ও ডিজিটাল অর্থনীতি (যার মধ্যে রয়েছে সাইবার সুরক্ষা, বিগ ডাটা ও ডাটা স্বাধীনতা), ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভূমিকা এবং মোবাইল ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের জন্য রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ’
গত বছরের ৪-৬ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসএটিআরসি এর ১৭তম সভায় অ্যাকশন প্ল্যান নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আইটিইউ (আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন) ও এপিটি (এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি) এর উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এসএটিআরসি প্রতিষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিষয়ক বিভিন্ন নীতিমালা, প্রবিধান, নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে এ সংস্থা কাজ করে থাকে।
এছাড়া এই সংস্থা বেতার তরঙ্গ সমন্বয়, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, রেগুলেটরি প্রবণতা, টেলিযোগাযোগ উন্নয়নের কৌশল এবং টেলিযোগযোগ সংক্রান্ত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী সম্পর্কে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ