বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের একথা বলেন।
“রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা নয়, সেবা দেবে বলে গুরুত্বারোপ করে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তারানা হালিম।
তিনি বলেন, টেলিটকের যে বকেয়া আছে সেগুলো সরকারের ইক্যুইটি হিসেবে বিবেচনা করার জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে খুব দ্রুত চিঠি পাঠাবো, যেন সেভাবে (ইক্যুইটি) বিবেচনা করা হয়।
টেলিটকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিটিআরসির কাছে তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং থ্রিজি প্রকল্পে ঋণ হিসেবে এক হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা সরকারের পাওনা রয়েছে। সব মিলে এ দেনার পরিমাণ তিন হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।
টেলিটকের সেবা বৃদ্ধির জন্য একনেক সভায় ‘থ্রিজি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২.৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ’ শীর্ষক ৬৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক অনুমোদিত ৬৭৫ কোটি টাকা খুব দ্রুত ছাড় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারানা হালিম। তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে একনেক অনুমোদিত ৬৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পের অর্থ ছাড় অতিদ্রুত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এক শতাংশের নিচে যে সুদ দেওয়ার কথা আছে সেভাবে টেলিটককে এ টাকা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে দেওয়া হবে, পরবর্তীতে সরকার গ্রান্টে পরিণত করবেন।
“প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ব দেশি প্রতিষ্ঠানকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য বিনিয়োগের পথ করে দেওয়ার ফলে নেটওয়ার্ক অনেকটাই উন্নত হবে”, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
“প্রধানমন্ত্রী টেলিটক নিয়ে বেশ ইতিবাচক। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন টেলিটক জনগণকে সেবা দেবে, টেলিটককে ব্যবসা করার জন্য সরকার সেভাবে রাখেনি, প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে নেটওয়ার্ক নেই সেসব অঞ্চলে সেবা দেবে টেলিটক। ”
সম্প্রতি টেলিটকের ৬ লাখ গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তারানা হালিম।
প্রধানমন্ত্রী একনেকে টেলিটকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদেশি কোম্পানি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বক্তব্যের বিষয়ে তারানা হালিম বলেন, সভার শুরুতে এ কথা হয়েছিল। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় ঠিকমত রান করতে পারে না, একটি বিনিয়োগকারী আসলে তখন সেটা রান করতে পারে। এটি জেনারেল বক্তব্য দিয়েছেন।
তারানা হালিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন টেলিটকের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হবে তাহলে সেই নির্দেশনা অবশ্যই মেনে নেবো। তবে ৬৭৫ কোটি টাকা দিয়েছেন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে, আমরা যে আবেদন করেছি আস্থার জায়গা থেকেই এ টাকা তিনি দিয়েছেন।
**ইন্টারনেটের মূল্যে 'ফাঁকির তথ্য' জানাবে অপারেটররা
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস