সেই কথামতো, অর্ডার দেওয়া হলো তিনটি মোবাইল ক্লিপ লেন্সের। ক’দিন পর অর্ডারদাতার ঠিকানায় পৌঁছালো প্যাক।
এমনভাবে প্রতারিত হয়ে আজকেরডিল.কমের কাস্টমার কেয়ারে দেওয়া হলো ফোন। ওপ্রান্ত থেকে একজন নারী কর্মী কল রিসিভ করে অভিযোগ শুনে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই জানাবেন বললেও তিন দিন গড়ানোর পরও কোনো ইয়ত্তা মিললো না তাদের।
এই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে ফেনীর গ্রাহক জাহিদুল ইসলাম হাজারীর। সম্প্রতি তিনি বাংলানিউজের কাছে এ অভিযোগ দেন।
জাহিদ বলেন, ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আজকেরডিল.কমে মোবাইল ক্লিপ লেন্সের জন্য অর্ডার করি। কথা ছিল প্যাকে তিনটি লেন্স থাকবে। কিন্তু মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য হাতে পাওয়ার পর প্যাক খুলে দেখি তাতে দু’টি লেন্স। তাছাড়া যে মানের লেন্সের জন্য অর্ডার দিয়েছি, সে মানের দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
জাহিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ যেন প্রতারণার নতুন ফাঁদ। তাদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে সমস্যার কথা বলার পর ওপাশ থেকে বলা হলো ৫ মিনিটের মধ্যে জানাচ্ছি। কিন্তু তিন দিন গড়ানোর পরও তাদের ৫ মিনিট শেষ হলো না।
অনলাইন মার্কেট প্লেসটির এমন প্রতারণায় ক্ষুব্ধ জাহিদ বলেন, মানুষ সময় বাঁচাতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হচ্ছে। কিন্তু তারা যদি মানুষের আগ্রহকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে, তাহলে কেউ আর এসব মার্কেট প্লেসের দিকে ঝুঁকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ৩০১৭
এসএইচডি/এইচএ/