বলা যায় অল্পেই তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। নতুন তথ্য হচ্ছে- বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো অ্যাড নেটওয়ার্ক, তথা ইউটিউব থেকেও তাদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
বিষয়টি তাদের বোধে এসেছে যখন মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো- এসব নেটওয়ার্ক আর অ্যাপসে বিজ্ঞাপন মানেই হচ্ছে আপনি জানেন না সে বিজ্ঞাপন কোথায় প্রকাশিত কিংবা প্রদর্শিত হচ্ছে।
অনেক সময় অযাচিত কনটেন্ট কিংবা পাতায়ও দেখা যাচ্ছে এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। যৌনতা, বর্ণবিদ্বেষ, সহিংসতা, সংঘাত, জঙ্গিপনায় ভরা কনটেন্টেও দেখা যায় তাদের বিজ্ঞাপন।
এটা সত্য এ ধরনের কনটেন্ট প্রকাশ করে এমন চ্যানেল কিংবা মাধ্যম হাতে গোনা। ভালো কনটেন্ট দিচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু ভালো কনটেটেন্টের চেয়ে নোংরা কনটেন্টে আগ্রহীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
ফলে বাছ-বিচারহীনভাবে যখন কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপন ছেড়ে দেয় তখন এই গুটিকয় অপরাধী চক্র কাড়ি কাড়ি অর্থ কামিয়ে নেয়।
তাতে যৌনতা, সন্ত্রাস আর বর্ণবাদীতা বাড়াতেই প্রাকারান্তরে ভূমিকা রেখে চলে এসব কোম্পানি ও কর্পোরেট।
এ অবস্থায় মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলোর সাথে সরাসরি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থায় যেতে শুরু করেছে বড় বড় কোম্পানিগুলো। ফলে খবরভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের ডিজিটাল আয়ের পথে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
আর সেগুলো ভূয়া কিংবা মিথ্যা খবরকে পুঁজি করে যৌনতা, আর সুড়সুড়িমূলক কনটেন্ট দিয়ে সস্তা ক্লিক আর তধোধিক সস্তায় অ্যাপসনির্ভর বিজ্ঞাপনে বড় আয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন তা এবার বন্ধ হওয়ার পথে।
প্রশ্ন বাংলাদেশকে ঘিরে। এখানে বড় বড় কোম্পানিগুলো এতদিন বড় বড় মিডিয়া হাউজগুলোর সাথে সরাসরি বিজ্ঞাপন করলেও ইদানিং ঝুঁকেছে এইসব অ্যাড নেটওয়ার্কে। তাদের অধিকাংশেরই বক্তব্য তাদের বিজ্ঞাপনের কত পেজভিউ হচ্ছে সেটাই বড় কথা! কোথায় দেখানো হচ্ছে তাতে কিছু আসে যায় না!
বিশ্বমানের কোম্পানিগুলো তাদের ভুল যতটা সহজে বুঝতে পেরেছে, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনদাতারা তা বুঝবে কি?
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এমএমকে