বিজয়ী দলগুলো ৫০ লাখ টাকার লাঞ্চ বুস্টার ছাড়াও গ্রামীণফোনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা পাবে।
গেম জ্যাম বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় গ্রামীণফোন ও হোয়াইট বোর্ডের একটি যৌথ উদ্যোগ।
রোববার (৭ মে) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গেম জ্যামের সমাপনী অনুষ্ঠান।
গেম জ্যাম প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ক্রাউড সোর্সের মাধ্যমে গেম ডেভলপ এবং বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশে তৈরি বড় মোবাইল গেম চালু করতে কাজ করবে।
‘জ্যাম’ চলাকালীন দলগুলোকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে প্রাসঙ্গিক খাত বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকদের প্যানেলের মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলগুলো হলো- অ্যাকশন গেম ‘ইনফেকটেড’ নিয়ে টিম রিবুট, ক্রিকেট গেম ‘গলি ক্রিকেট’ নিয়ে টিম ভুতুম পেঁচা, ঐতিহ্যবাহী নকশীকাথা ভিত্তিক আর্ট গেম ‘নকশী’ নিয়ে শ্যাডোলিট, পাজল গেম শব্দ নিয়ে ‘টিম ট্রাইফোর্স’ এবং স্কেচ/রেসিং গেম স্কেচ জার্নি নিয়ে ‘আনইকুয়াল সোলজার্স’।
তাদের ডেভলপ করা গেমগুলো এ বছরের জুলাই মাসের মধ্যে বাজার উপযোগী করে তোলা হবে এবং শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের মাধ্যমেই গেমগুলো উন্মোচন করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী পিটার ফারবার্গ, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ও বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা যাতে তাদের মেধার প্রদর্শন করতে পারে ও নিজেদের ধারণাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারে এজন্য গ্রামীণফোনের অনেকগুলো উদ্যোগের একটি হচ্ছে গেম জ্যাম।
তিনি বলেন, এ আয়োজনের মতো বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি ডিজিটাল তরুণদের নিজেদের মধ্যে প্রতিভার লালন করতে। যা আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশকে সামগ্রিক ডিজিটালকরণের দিকে নিয়ে যেতে নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করবে।
গ্রামীণফোনের আয়োজনের প্রশংসা করে ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, এ ধরনের আয়োজন তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ক্রিয়েটিভিটি বাড়াবে।
পাশাপাশি শিক্ষায় খরচ বাড়ানোর পরামর্শ দেন বুয়েটের এ অধ্যাপক।
গেম জ্যামের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয় গত বছরের ২৩ মার্চ এবং শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। আবেদন করা দলগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত ২৫টি দল ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী এ জ্যামে অংশগ্রহণ করে, যেখানে তারা নির্দিষ্ট কাজের ভিত্তিতে একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে।
বিজয়ী শীর্ষ তিন দল বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নিজেদের তুলে ধরতে গ্রামীণফোনের সার্বিক সহায়তা পাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। বিজয়ী দলগুলো যেসব সহায়তা পাবে তার মধ্যে রয়েছে তাদের গেমগুলো বাজার উপযোগী করে তুলে বৈশ্বিকভাবে নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে আর্থিক ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সহায়তা।
গেমগুলো গ্রামীণফোনের উন্নত ডিজিটাল পণ্যের অংশ বলে বিবেচিত হবে এবং একই সঙ্গে টেলিনরের সংযুক্ততার মাধ্যমে পাবে বিশ্বমানের মর্যাদা।
গেম তৈরিতে অংশগ্রহণকারীদের পরিচর্যায় তাদের প্রশিক্ষণগত প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
এ উদ্যোগের সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- এমল্যাব (কৌশলগত সহযোগী), স্যামসাং (রিসোর্স সাপোর্ট), অপেরা (ইন্ডাস্ট্রি পার্টনার), ওয়াওবক্স (ডিজিটাল সহায়তা) এবং অ্যাপনোমেট্রি (কমিউনিটি এনগেজমেন্ট)।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এমআইএইচ/আরবি