এর আগে লাইসেন্স বাতিলের অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে গত ৮ জুন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আইনগত বিধান অনুসরণ করে মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, এর আগে আইনগতভাবেই বকেয়া পরিশোধে সিটিসেলের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগতভাবেই সময় পার হয়েছে। সিটিসেল বকেয়া এবং তরঙ্গ ফি জমা দেয়নি।
৪৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকায় গত বছরের ৩১ জুলাই বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গ্রাহকদের পরামর্শ দেয় বিটিআরসি। গত বছরের ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত ও কার্যক্রম বন্ধ করে মহাখালীতে অপারেটরটির কার্যালয় সিলগালা করে দেয়।
আইনি লড়াইয়ে সাময়িকভাবে তরঙ্গ চালুর অনুমতি পায় সিটিসেল। আদালতের নির্দেশনায় দেনার প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও বাকি টাকা বকেয়া রয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, আদালতের রায় অনুযায়ী, বকেয়া পরিশোধ এবং প্রতি মাসে স্পেকট্রাম ফি দিতে হবে সিটিসেলকে। কিন্তু সেগুলো বকেয়া রয়েছে। এখন লাইসেন্স বাতিল হবে অপারেটরটির।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমতির পর সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
গ্রাহকহীন অপারেটরটির বর্তমানে মহাখালীর অফিসটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম