ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অনুমোদন পেল ফোর টায়ার ডাটা সেন্টারের ডিজাইন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
অনুমোদন পেল ফোর টায়ার ডাটা সেন্টারের ডিজাইন

ঢাকা: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্থাপন হতে যাওয়া ফোর টায়ার ডাটা সেন্টারের ডিজাইন অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আপটাইম ইনস্টিটিউট।

ডাটা সেন্টারের হোস্টিং ক্যাপাসিটি  বৃদ্ধি, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডাটা বা নথি সংরক্ষণ ও সুরক্ষিত রাখতে এবং জাতীয় ই-সেবা সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিক সেবা দ্রুত ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি প্রাঙ্গণে এই ফোর টায়ার ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে।

ফোর টায়ার মানের এই ডাটা সেন্টারকে ডিজাইন ডকুমেন্টস, কন্সট্রাকটেড ফ্যাসিলিটি গেজ অপারেশনাল সাসটেইনাবিলিটি ধাপে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সার্টিফিকেট প্রদান করেছে আপটাইম ইনস্টিটিউট।

যুক্তরাষ্ট্রের আপটাইম ইনস্টিটিউট পৃথিবীর একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা ডাটা সেন্টারের সর্বশেষ ধাপ টায়ার ফোর এর অনুমোদন দিয়ে থাকে। গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উচ্চমান নিশ্চিত করার শর্ত পূরণ হলে তাদের অনুমোদন দেয় আপটাইম ইনস্টিটিউট।

আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই অনুমোদনের ফলে ডাটা সেন্টার স্থাপনে এক ধাপ অগ্রগতি হলো, যা আপটাইম ইন্সটিটিউট থেকে টায়ার ফোর গোল্ড ফল্ট টলারেন্ট সার্টিফিকেশন অর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

অনুমোদন প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনে দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশের কলেবর বাড়ছে। আর সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেশি পরিমাণে ডাটা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও। এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে টায়ার ফোর মানের ডাটা সেন্টার স্থাপন করছি। এই ডাটা সেন্টারে সরকারি ডাটার পাশাপাশি আমরা সীমিত আকারে বেসরকারি ডাটাও হোস্ট করবো। ডাটার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবে আপটাইম ইনস্টিটিউট। টায়ার ফোর মানের সার্টিফিকেশন দেয়ার আগে আপটাইম ইনস্টিটিউট সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে’, বলেন পলক।

‘ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার’ প্রকল্পের আওতায় দেশে একটি সমন্বিত ও বিশ্বমানের ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে, যার ডাউন টাইম থাকবে শূন্যের কোঠায়। এর ফলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ডিজিটাল কন্টেন্ট সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল কন্টেন্টসমূহের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে জনসেবা উন্নত হবে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি কার্যালয়ের আইসিটি কার্যক্রম সরাসরি যুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে আইসসিটি বিভাগ।

ডাটা সেন্টারের জন্য কালিয়াকৈরে আন্তর্জাতিকমানের দ্বিতল ভবন তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ডাটা সেন্টারের ইলেট্রিক্যাল ও আইটি ইকুইপমেন্ট ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত করে প্রকল্পটির আওতায় স্থাপিত সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক, পাওয়ার সিস্টেম, কুলিং সিস্টেম, ফায়ার সিস্টেম ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির আমদানিও প্রায় শেষ পর্যায়ে।  

এই ডাটা সেন্টারে থাকছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ৬০৪ টি ৠাক, ৯ এমভিএ লোডের রিডান্ডেন্ট লাইনসহ সমৃদ্ধ ২৪ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যু সংযোগের ব্যবস্থা, উচ্চ গতিসম্পন্ন ৪০ জিবিপিএস রিডান্ডেন্ট ডাটা কানেকটিভিটি/ইন্টারনেট সংযোগ।

২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর একনেকে অনুমোদিত  এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় এক হাজার ৫১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা সরকারি অর্থায়ন এবং বাকি এক হাজার ১৯৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য।

প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনে শেষ হবে বলে জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।