এতে দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামই হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ডের আওতায়ে আসবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা ৪টি খাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সফটওয়ার শিল্পে ২৬ মিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট ছিল। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭’শ মিলিয়ন ডলারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি টার্গেট আমাকে দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে, ২০২১ সাল নাগাদ হার্ডওয়ার-সফটওয়ার সার্ভিস সেক্টর থেকে আয় করতে হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। এই সেক্টরে ২০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য সেভেন ফাইভ-ইয়ার প্লান করার ও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টার্গেট পূরন করতে অর্থমন্ত্রীর কাছে আইসিটি পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু আবেদন ও করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর ৫ লাখ ল্যাপটপ কম্পিউটার, প্রায় ৩০ লাখ মোবাইলফোন, প্রায় ২০ লাখ রেফ্রিজেরটর আমদানি করা হয়। আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার জন্য আমরা দাবি করেছিলাম ১০০টি কাঁচামাল পণ্যে যদি রিয়াতি প্রদান করা হয় তাহলে আমাদের দেশি শিল্প প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অর্থমন্ত্রী আমাদের আইসিটি পরিবারের সেই দাবি গ্রহণ করেছেন। তিনি ৯৪টি পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করেছেন। ফলে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশেকে আইসিটির অন্যতম আকর্ষনীয় গন্তব্য হিসেবে তৈরি করার জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আইটি ও আইটি সেক্টরের সব ধরনের ট্যাক্সকে উনি অবমুক্ত করেছেন। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এই মুহুর্তে এতো বিনিয়োগ বান্ধব নয়।
তিনি বলেন, সরকার সারা বাংলাদেশে সাড়ে ৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছে। আগামীতে প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আরও ১৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
আরএম/বিএস