এ উপলক্ষে ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি আয়োজিত একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রদর্শিত হয়।
গত ৪ জুন (রোববার) ‘ব্র্যাক অণ্বেষা’ ন্যানো স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্র্যাক অণ্বেষার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসের ৪ নং ভবনের ছাদে তৈরি গ্রাউন্ড স্টেশন প্রস্তুত রয়েছে। গত ২৫ মে গ্রাউন্ড স্টেশনটি উদ্ভোধন করেন ব্র্যাকের চেয়ারপারপসন ফজলে হাসান আবেদ।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাপানে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ সাব আন্দালিব ‘কিউশু ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলোজি’র কাছ থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে ন্যানো স্যাটেলাইটটি গ্রহণ করেন। একই অনুষ্ঠানে 'জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন' এজেন্সির কাছে মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য ন্যানো স্যাটেলাইটটি হস্তান্তর করা হয়।
মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে স্যাটেলাইটটির অন্যতম কাজ। নানা বিষয়ে গবেষণার জন্য উচ্চমানের ছবি তুলে পাঠাবে স্যাটেলাইটটি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা তাদের গবেষণা ও শিক্ষাদান কার্যক্রমে এসব তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করবেন। ন্যানো সাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে ৪০০ কি.মি. ওপরে অবস্থান করবে। এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে আসতে ৯০ মিনিট সময় লাগবে। এটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে দিনে ৪ থেকে ৬ বার উড়ে যাবে।
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের পর জাপানের অ্যারোস্পেস স্পেস এজেন্সির সঙ্গে স্কাইপেতে ভিডিওর মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ সাদ আন্দালিব ওই এজেন্সি, নাসা, জাপান সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মহাখালীর ব্র্যাক ক্যাম্পাস ভবনের ছাদে তৈরি গ্রাউন্ড স্টেশনে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী হৃদ্বিকা দাস বাংলানিউজকে জানান, স্যাটেলাইটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করবে, তবে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়াও সম্ভব। বাংলাদেশের উপর দিয়ে এটি দিনে ৪ থেকে ৬ বার উড়ে যাবে এবং ঠিক ওই সময়েই সব তথ্য ও ছবি প্রেরণ করবে যা, এ স্টেশন গ্রাউন্ড সংগ্রহ করবে। এ কারণে স্টেশন গ্রাউন্ডটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭
এমএএম/জেডএস