মঙ্গলবার (১১ জুলাই) মেসেঞ্জারের হেড অব প্রোডাক্ট স্ট্যান চুডনোভস্কি এই ঘোষণা দেন। তিনি স্যান ফ্র্যান্সিসকোতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে ভেঞ্চারবিট নামে একটি ওয়েবসাইটের সিইও ম্যাট মার্শালের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
ফেসবুক মেসেঞ্জারে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২০ কোটি মানুষ নিয়মিত যোগাযোগ করেন থাকেন। সারাবিশ্বের এই বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর মধ্যে গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডের ব্যবহারকারীদের বেছে নিয়ে সেখানে বিজ্ঞাপন দেখাতে থাকে মেসেঞ্জার।
দেশ দু’টিতে এই কার্যক্রম বিজ্ঞাপনদাতাদের উৎসাহী করেছে উল্লেখ করে স্ট্যান বলেন, সারাবিশ্বে এটি ছড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম ধীরে ধীরে শুরু হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এমন বিজ্ঞাপন সারাবিশ্বের মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরাই দেখতে পাবেন।
কোম্পানির হেড অব প্রোডাক্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, মেসেঞ্জারে নতুন বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীদের সবশেষ কনভারসেশন লিস্টে দেখা যাবে। অবশ্য ফেসবুকের মতোই অপ্রাসঙ্গিক, ক্ষতিকর এবং অপ্রত্যাশিত বিজ্ঞাপনগুলোর বিষয়ে রিপোর্ট করা যাবে কিংবা হাইড করে দেওয়া যাবে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত বছরের নভেম্বরে ফেসবুক তাদের অংশীদারদের বলেছিল যে, তাদের বিজ্ঞাপনকেন্দ্রিক আয় উদ্বেগজনক হারে কমে যাচ্ছে। এরপর থেকে তারা কয়েকটি আয় পদ্ধতি হাতে নিয়ে কাজ করছে। মেসেঞ্জারের হোম স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন সেই পদ্ধতিগুলোরই একটি।
অবশ্য ফেসবুক-স্ন্যাপচ্যাটের মতো যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিজ্ঞাপনগুলোকে মূলধারায় নিয়ে আসতে চাইছে অনেক আগে থেকেই। নিউজফিডের বাইরে তাদের ভিডিও, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলস এবং ফুল-স্ক্রিন ক্যানভাস অ্যাডস- ইত্যাদি বিজ্ঞাপন সেই প্রচেষ্টারই অংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এইচএ/