ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এবার হেলিকপ্টার তৈরি করছেন বরগুনার সোহেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এবার হেলিকপ্টার তৈরি করছেন বরগুনার সোহেল হেলিকপ্টার তৈরি করছেন সোহেল- ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: সোহেল হাওলাদার (৩২)। পেশায় একজন মোটর মেকানিক। বরগুনার পুরাকাটা ফেরিঘাটে মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করেন। মাস ছয়েক আগে মোটরসাইকেলের পুরনো বডি ব্যবহার করে দ্রুত গতিসম্পন্ন স্পিডবোট তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। এবার তিনি নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করছেন হেলিকপ্টার।

সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ হাওলাদারের ছেলে সোহেল রানা। চার ভাই বোনের মধ্যে সোহেল সবার বড়।

অর্থাভাবে বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।

প্রথম জীবনে ট্রলারে মানুষ পারাপার করে শুরু হয় তার কর্মজীবন। কিছুদিন পর ট্রলার ডাকাতি হয়ে গেলে শুরু করেন মেকানিকের কাজ। বরগুনা পুরাকাটায় গড়ে তোলেন ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি মোটরসাইকেল সার্ভিস সেন্টার।  

সোহেল রানার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন হেলিকপ্টারের বডি ও পাখা তৈরির কাজে। আর মেশিন কেনার টাকা না থাকায় তার আবিষ্কৃত স্পিডবোটের মেশিন খুলে হেলিকপ্টারে লাগিয়ে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের চেষ্টায় ভালোভাবে সফল হতে পারেননি তিনি।
এর আগে সোহেলের তৈরি স্পিডবোডসোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, তার এই প্রযুক্তিতে হেলিকপ্টার আকাশে উড়াতে হলে উন্নত পাখা ও মেশিনসহ আরো কিছু যন্ত্রাংশ দরকার। কিন্তু টাকার অভাবে সেসব যন্ত্রাংশ কিনতে পারছেন না।

সোহেল রানার মা রেনু বেগম বলেন, ‘স্পিডবোট তৈরি করতে গিয়ে অনেকের বাজে কথা শুনতে হয়েছে তার ছেলেকে। স্পিডবোট তৈরির পর অনেকেই ভরসা পেয়েছেন যে সোহেল আরো কিছু করতে পারবে। আর হেলিকপ্টারের পাখা যখন ঘুরছে তখন মন খুইলা কান্দন আইছে, তহন মনে হইছে আরে যদি পরালেহা করাইতে পারতাম’।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মোহা. বশিরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত ভাবে সাহায্য চাইলে বরগুনা জেলা প্রশাসন অবশ্যই সোহেলের পাশে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।