প্রযুক্তি সেবা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।
একসেঞ্চার এমপ্লয়ি ইউনিয়ন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ৫শ ৫৬ জন কর্মীকে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। নভেম্বরের পর প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করবে।
গ্রামীণফোনের শতভাগ সাবসিডিয়ারি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন আইটি। ২০১৪ সালে গ্রামীণফোন আইটির ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনে একসেঞ্চার। কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ‘একসেঞ্চার কমিনিকেশন্স অ্যান্ড ইনফ্রস্ট্রাকচার সল্যুশন্স লিমিটেড’ নামে ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব নেয় বলে জানান কর্মীরা।
আইরিশ এ কোম্পানিটির বিভিন্ন দেশে তিন লক্ষাধিক কর্মী কাজ করছে। বাংলাদেশে শীর্ষ পর্যায়ে তিনজন বিদেশি রয়েছেন।
একসেঞ্চার বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উদ্যোগে নেতিবাচক প্রভাব এবং ৫শ ৫৬ কর্মীর সামনে অন্ধকার পথ তৈরি হবে বলে মনে করেন কর্মীরা।
একসেঞ্চারের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনের টিম লিড শবনম খান বলেন, এশিয়া ও ইউরোপে বিভিন্ন কার্যক্রম পুনরায় জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে টেলিনর গ্রুপ ও একসেঞ্চার। আর এ কারণে একসেঞ্চার কমিউনিকেশনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার সলিউশনস লিমিটেডের (এসিআইএসএল) নিজ কার্যালয়ে চলমান কিছু কার্যক্রমে (সেবায়) রদবদল আনা হচ্ছে। আরও কিছু কার্যক্রম তৃতীয় পক্ষের হাতে স্থানান্তর করা হবে।
কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এক ইমেইল বার্তায় এসব কথা বলেন শবনম খান।
তিনি আরও বলেন, এসিআইএসএল কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ পরিবর্তিত অবস্থায় তৃতীয় পক্ষের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী কাজের সুবিধা পাবেন। প্রতিষ্ঠান সব র্কমীর এই পরিবর্তনকালীন সময়ে সব ধরনের যথার্থ সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ